পরাশ্রয়ী পুরুষ
নাকের ডগায় সিঁদুরের কিছু কণা দেখে
ভালবাসার ঠাওর করা যায় না
তোমার ওই উত্তরে শাঁখা ও পলার
দ্বন্দ কোথায় যেন ভেসে উঠে ছিল
অবশ্যই ওই সোহাগের চিহ্ন নজীর পড়ি নি
না জানার সত্তেও তোমার বিতৃষ্ণার সুর
নিজেই যেন তটবন্ধ ভেঙে ফেলেছিল
আমি কিন্তু ওই ঘায়ে হাত দিতে চাই নি
সহানুভূতি কিংবা সম্মোহনের বশিভুতে
নাটকীয় প্রেম দেখলাম তোমার অতৃপ্ত মনে
অসময়ের বৃষ্টির সম ক্ষনিক শান্তি দিয়েছে
সেই থেকে অবৈধ প্রণয়ের বীজারোপন
প্রেম আবার বৈধ ও অবৈধতা মানে না কী
আলাপের আধারশীলায় আমি জানিয়ে দিয়েছি
যে আমি মুখ্য অতিথি এবং তুমি শুধুই
বাঞ্ছিত বাস্তু ভূমি, আমার ইচ্ছার বাহিরে
তোমার কোনো গতি নাই, আমি পরজীবী
অমরলতা, যেখানে মন চায়, সাম্রাজ্য গঠিত করি,
ক্রমশঃ তোমার জড়িয়ে পড়া, যেন আমার
উত্থানের পথ প্রসস্ত করে দিয়েছে
ওই নাকের ডগার সিঁদুর গেছে মলিন হয়ে
পুরাতন কাপড়ের দোকানে নির্বাচনের বিধান কী
আছে, এই ভাবেই তোমার অস্তিত্ব গেছে হারিয়ে
আমি হয়ে উঠলাম মহা নদ, ভাঙনের স্রষ্টা
এবং তুমি গুটিয়ে গেছ সমস্ত ব্যথা
জানি তুমি একাকী পড়ে থাক অভিশপ্ত জীবন
নিয়ে, আমি চির পরজীবী আবার
পুষ্প ভরা উচ্চ গাছের সন্ধানে //
--- শান্তনু সান্যাল