অতিবেগুনী কিরণে দেখেছি অপরূপ মায়াবী রাত,
নীরন্ধ অন্ধকারে, চোখের বন্য হরিতাভ
আলোর তরঙ্গে, জীবন মরণের খেলা,
কৃষ্ণ পক্ষের সেই যামিনীর গায়ে
তাজা মাংসের গন্ধ, গরম
রক্তের সান্দ্রতা, গহন
আর্তনাদ, দীর্ঘ
গোঙানির
পরে হয় ত ক্রমশঃ মৃত্যুমুখী কিংবা বুনোকুকুরের
ভক্ষণ ! নিজের চোখে আবছা মৃত্যু দেখা,
হয় ত এই বীভৎস, ঘৃণিত রাতে,
কোনো অবিকশিত ভ্রুণের
শ্বাদন্ত হতে ফসকে পড়া,
তৃণাবৃত জীবনের
উৎপত্তি !
সংবেশিত হরিণের পাল আঁধারে পথ খুঁজে পায় না,
আখেটক দল নিরব ধাপে তাদের হদিস জানে,
ভয়াতুর জীব এখন দিক ভ্রমিত, বিহ্বল
হৃদয়ের অন্তিম নিঃশ্বাস, কিছু
ক্ষনেই সন্নিহিত এলাকা
নিঝুম, হাওয়ায়
তামসিক
বিতৃষ্ণা, মুদ্রার টংকার, অসংহত আবরণের খোঁজ !
জীবনের টুকরোগুলোকে জড়ো করে, হিংস
রাতের বুক থেকে মুক্ত হওয়া, শেষ
প্রহরে তৃণভূমিতে পড়ে রয়েছে
অস্থি পিঞ্জর কিছু বিবর্ণ
মাছিময় রুধিরের
দাগ, চাপা
ক্রন্দন,
নিরীহ হরিণশিশুর অসমাপ্ত, দুগ্ধময় স্তনের সন্ধান !