নির্বাক আরশি, অবাক পলাস্তর খসা দেয়াল
খুলে চলেছি অন্তর্বাস, কুড়িয়ে রাখি লজ্জা
বেঁচে থাকার ব্যতিক্রমিক প্রয়াস,
বেশিক্ষণ দেখো না গলন্ত ঘা, ঘৃণার পূর্বে
কর আমায় হোমাগ্নি, অদাহ্য নাভি
জঠর অনল, পরিমার্জিত, পুনর্জীবিত
করতে চেয়ো না, সব কিছু করে যাবে নিমিষে
স্বাহা, অন্তঃপ্রবাহ বহে যদি বহে যাক,
থামিও না, উলঙ্গ জন্ম, নগ্ন মৃত্যু
নিরাবরণ জীবনের সঙ্গে করেছি সম্বন্ধ
বহুবার সে করেছে আমায় নির্বস্ত্র
অনেক সময় নিজেই খুলে ফেলেছি ত্বক,সল্ক !
হতে চাই নি গঙ্গাপুত্র, ইচ্ছামৃত্যুর
বরদান চাহি নি কোনো দিন, নিয়তি কে
দিলাম ক্ষমা করে, কেন ঘিরে আছো
চতুর্দিগে, কি চাও পরিশেষে, রক্ত
হাড়, মাংস, বীর্য, মেধা, মজ্জা, স্নায়ু, স্পন্দন
সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ উপভোগ করেছে জীবন!
অশ্রুর লবনতায় আর ঢেকে রেখো না
মায়াবী দেহের মৃত ভূমি, অফলন গাছের
স্থিরতার কোনো অর্থ নাই, ইন্ধনে দাও কি
ঝড়ের পথ চাও! কিংবা নদীর ভাসান -
--- শান্তনু সান্যাল
পৃথিবীর বুকে
চিলেকোঠার অন্ধকার, বেয়াড়া পড়ন্ত বেলা সিঁড়ির ধাপে অদৃশ্য পায়ের উদ্বিগ্ন চলা ফেরা
ভয়াতুর স্নায়ু, নির্লিপ্ত মনে আলোর ঝিলিক -
সূর্য্য জারজ সন্তান, খুঁজতে চলেছে বংশাবলী,
সন্ধ্যা হলো বিগত ইতিহাস, রাত বিবস্ত্র হাসে !
সমুদ্র তলে,অথৈ,প্রগাঢ় আঁধারে ঘুমিয়ে আছে -
নাকি জন্মদাতা নিভৃত ভাবে,বিহান জড়িয়ে
সমস্ত গায়ে,ঢেলে চলেছে আগুনের শুক্র, বিন্দু
বিন্দু,তবু ত ভেসে উঠে না আগ্নেয়গিরি শিশু!
অবশেষে জরাগ্রস্ত লাট পড়ে থাকে শৈল তীরে,
জলীয় আগাছা জড়িয়ে, অংশুমালির উদয় -
উদাসীন,বিবর্ণমুখে চেয়ে থাকে বসুধার বুক !
পৃথিবীর স্তনে বৈমাত্রেয় গ্রন্থী নাই, সে করে
যায় গ্রহণ, গরল, সুধা, তাপ সন্তাপ, সব কিছু.
--- শান্তনু সান্যাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন