এখানে ক্ষিতিজ জানে না নুয়ে যাওয়ার ভাষা শুধুই
হাসে নিয়ে দেহে আরুণিক আলো, ব্যথিত রাত্রি
গুছিয়ে চলেছে, এলোমেলো আঁধারের ধর্ষিত,
শোষিত স্বপ্নের কাহিনী, জনশূন্য পথের
সেই পান্থ পথিক, হয় ত কিছু ক্ষণে
হারিয়ে যাবে উড়ান সেতুর
নীচে, মহানগরের নভে
এখন ভেসে চলেছে
ফেকাসে রং
দর্শক বিহীন রঙ্গমঞ্চে ছড়িয়ে ছিটকিয়ে আছে যেন
মুখোশ, ফেলানো অন্তর্বাস কিংবা ছদ্মবেশ,
ক্রমশঃ নিষ্ঠুর পরিচালকের দল মেখে
মুখে উজ্জ্বল কান্তি, দাঁড়িয়ে আছে
নিয়ে হাতে খবরের কাগজ,
পড়ে চলেছে নিজের
গৌরব গাথা !
কিছুই ত
ঘটে নি সনাতন জীবনের ধারা যথারীতি প্রবাহী,
দেউলের মুখে দাঁড়ানো যাযাবর ষাঁড় চিবিয়ে
চলেছে উচ্ছিষ্ট আর্বজনা, পাস কেটে
গেছে নগরপাল, ফুটপাথের কুষ্ঠ
রুগীর সামনে কিছু খুচরো
পয়সা, কে যেন
জানিয়ে গেছে অস্পষ্ট ভাষায়, দয়া মায়া নাকি
এখন আছে জীবিত, অন্ধকারে যদি
মাড়িয়ে গেছে মানবতা সে না
কি পাপ নয়, রাস্তার ধারে
ফেলানো অস্তিত্বের
সমাপ্তি ঘটে
এই ভাবে, মানুষ হোক কিংবা নেড়ি কুত্তা !
জীবনের আকলন বুদ্ধিজীবির কাজ,
লিখে যাও নিজের ভাষায়
চান্যকীয় পরিভাষা,
আজ নাকি
নন্দনে
জীবন নিয়ে বিরাট আলোচনা সভা, যদি সময়
থাকে এস, আনন্দ ভোগ কর, কিছু
নামকরা শিল্পীর উলঙ্গ দেহের
চিত্রাঙ্কন রয়েছে ঝুলে,
কিছু যুদ্ধ পীড়িত
মানুষের
ছিন্ন বিছিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের আলোকচিত্র, কিছু
আমার তোমার জীবনের চিরকুট,
হয় ত পেয়ে যাবে রাজপথের
দুই ধারে, পচে গলে
ছড়িয়ে রয়েছে
অন্তর্তমের
কলা বিথিকায়, যদি পারো খুঁজে নিও আমায়
বিলুপ্ত ঠিকানা - - -
- - শান্তনু সান্যাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন