অনেক দিনের পরে তুই আসলি
ভালই লাগছে, ত্রিস কী চল্লিশ বছরের পরে
আজকাল জানিস অনেক কিছু গুলিয়ে যাই
এই চশমাটার কী যে আবদার বুঝি না
মাঝে মাঝে আবছা
আবার অনেক সময় উজ্জল হয় উঠে
আবার দেখা হবে ভাবতেই পারি নি
যাক, আর বল- কোথায় যে বসবি
জীবন আর এই তক্তপোষ, বেশ মিল না
একটু সাবধানে যেন বসিস
এই লাটুবাবু লেনের ঠিকানা ত কেউ ই জানে না
খুঁজতে নিশ্চই কষ্ট হয়েছে
এমনিতে খুব একটা কেউ আসে না
আসবে ও বা কেন, এই অন্ধ গলি তে
ভাড়া র ঘরে, স্মৃতিগুলো কবে যে মরে গেছে
সবাই তোকে অবশ্যই অবাক চোখে দেখেছে
বলিস নি ত যে ত্তুই আমার এক কালের
বন্ধু, তথাকথিত বিদ্রোহী বন্ধু
যাক গে, বল- ওই মুম্বাই থেকে এত দূরে
ভালই ত আছিস নাম আছে সুখ্যাতি ও কম নয়
প্রতিবেশী বাড়ির টিভি তে প্রায় তোর মুখ দেখি
ভালই লাগে, সবাই তোকে ভালবাসে
জানিস সেই যে তুই হটাত নিরুদেশ্য হলি
আমি সে দিন খুবই দুখিত ছিলাম
আমরা নিম্নবিত্তীয়, জামিন পাই নি
কাচা সেই বয়সে মনে হয়ে ছিল যে তুই
বিশ্বাসঘাতকতা করেছিস
কিন্তু আজ ভাবি ভালই করেছিস
বাঁচিয়ে নিলি গোটা কুটুম্ব কে
আমি জানতে চাই না তোর অকস্মাত
আসার কারণ -
কিন্তু তোর কিছু বিদ্রোহী কবিতা, উপন্যাস
প্রবন্ধ আমি এখনো সংগ্রহ করে রেখেছি
ওই উই ধরা কাঠের বাক্সের ভিতরে
নিয়ে যা হয় তো সিনেমার জন্য ভালো প্লট হবে
আর বল কী বা দিতে পারি, তোর জিনিষ তুই নিয়ে
যা, আমি না অতীত নিয়ে বাঁচতে চাই না /
--- শান্তনু সান্যাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন