পুংজাতীয় পুষ্প
তার স্থিতিমাপে আমার অস্তিত্ব যেন ছিল
এক দ্যুত খেলা, সে খেলে গেছে
সহজ ভাবে উঠিয়ে কখনো
সৈকতের ফেনা, আবার
অনেক সময় ফেলে
দিয়েছে ভাঙা
শম্বুকের
খোল ভেবে দুঃস্বপ্নের কিছু মর্মস্পর্শী মুহূর্ত,
ওই বিক্ষিপ্ত শ্রাবণের সাঁঝে যখন
ইন্দ্রধনু মচকিয়ে গেল ভেঙে
রং ছড়িয়ে একাকার,
সেই প্রলোভনীয়
ক্ষণে, তার
দুর্বোধ্য ভালবাসা করেছে আমায় প্রজ্বলনের
নি মন নিষ্ক্রমণের পথ, তার
বহু কুঞ্চিত আবেগের
গিঁটে ছিল অগ্নি
গহ্বর,
সক্রিয় মায়াবী গ্রন্থী, জীবন্ত আগ্নেয়গিরি,
সেই গহন নিঃশ্বাসে আমি করেছি
আত্মসাত তার প্রগাঢ়
অভিলাষ, বুকের
মাঝে দিয়েছি
আশ্রয়,
হয়ে উঠেছি ক্রমশঃ দ্রবীভূত পূর্ণ পুরুষ,
পাষাণী রুক্ষতা, কালান্তরে হয়
উঠবে মনে করি এক দিন,
পুংজাতীয় কোনো
বন্য কুসুম.