সোহাগী রাত্রি
নিয়ে হাতে চন্দন ফুলের মালা, বিচরণ
করে অজয় নদীর ধারে, কাশ
বনের মায়াবী পথে, যেন
অনুগামিনী অজ্ঞাত
নাগরের লয়ে,
ধরে গান
কি কীর্তন সেই জানে, ঘুরে বেড়ায় আপন মনে,
তার সুরের জোছনা ভরে যায় শুন্য
জীবনের বাতায়নে, হৃদয়ের
প্রাঙ্গনে বেজে উঠে ওই
নূপুর ধ্বনির মধুর
রিনিঝিনি,
সে উঁকি দিয়ে যায় হাতে নিয়ে স্বপ্ন ভরা ডালি,
সে যে আমার বড়ই সোহাগের সাথী,
থেমে রয় অনেক ক্ষণ বিছানার
কাছে, বলে যায় কত রূপ
কথার কাহিনী, মুদিত
চোখের পাতে
সাজিয়ে রাখে আগামী দিনের সপ্তরঙ্গী সকাল,
বুকে রেখে যায় ভরসার অদৃশ্য হাত,
অস্পষ্ট বাক্যে কি যেন বুঝিয়ে
যায় করুন স্বরে, হয় ত
পরিয়ে যায় ঘুমন্ত
দেহে পুষ্পের
মালা, আস্তে দিয়ে যায় কপালের মধ্যে নিয়তির
চন্দনরঙ্গী বৃত্ত, আমি তখন সম্মোহিত
মহন্ত, ভেসে চলেছি গঙ্গার ঘাটে,
অজানা নৌকা বেয়ে
অপরূপ সেই
মায়াপুরে,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন