কিছুই ব্যতিক্রমী নয়
বাতিল করে দিয়েছে, যেন ভুল ঠিকানার
চিঠি ফিরে এসেছে আবার মূল
বিন্দুর কাছে, লাল রঙ্গে
বক্ররেখা টি
বুঝিয়ে
দিয়েছে পরিষ্কারভাবে ওই অমুক দুর্লভ বস্তুর
অস্তিত্ব নাই, কল্পনা, সম্ভাবনার জায়গা
শুধুই স্বপ্নের মাঝে, দুই জৈবিক
রসায়নের সম্মিলনে
কবিতা কি
জন্মায়,
ওই যুক্তির আগে বলার কিছু ছিল না সুতরাং
বাস্তবিকতা কে গ্রহণ করে গেছে মন,
তার প্রয়োজনের ফর্দে যুক্ত করে
এসেছে, প্রেমের স্থানে দেহের
নামকরণ, হয় ত পরে
সময় অন্তরে
যখন
ওই লেখাটি হয় উঠবে ফেকাশে, চুপটি করে
লিখে দেবে শাশ্বত প্রেমের নিখুঁত বানান,
কৃষ্ণচুড়ার ফুল ভরলো শাখার প্রতি
বৃন্তে, পাতার মাঝে যেন অগ্নি -
শিখার মধুরিম দহন,
সাময়িক প্রজ্বলন
মৌসুমী
মেজাজের সঙ্গে কবে যে গেছে নিভে কেউ টের
পাই নি, যখন ঝরে গেছে সমস্ত ফুল ও
মিহি পাতার শামিয়ানা, দেহের
বানান হয় উঠেছে পল্লব
বিহীন বৃক্ষ, হাড়
মাংসের এক
স্থুল
ফলক, কুত্সিত ঝুলন্ত চামড়ার মানবীয় গঠন,
যেন ঝুলে রয়েছে, শুধু শুকনো শিমের
সহস্ত্র গুচ্ছ সারা অঙ্গ জুড়িয়ে,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন