কায়াহীন প্রহরী
ঘাঁতঘোঁত, ছল চাতুরী বোঝে না,
যা বাহির তাই ভিতর,
সে জন্যই ঠকেছে
জীবনের
হাটে,
তারা গুনি জ্ঞানী ফেলে গেছে শনির বলয়
বারে বারে, তাদের রাজনীতির
চক্রান্তে সে এখন দাবার
ঘুটি, মাত খেয়ে ও
হেসে যায়
সমানে,
তারা সবাই মহাভারতের যোদ্ধা সুপুরুষ বা
কাপুরুষ বলা সহজ নয়, শিখন্ডি
দের কে চেনা মুশকিল,
হয় ত আঁধার
কিংবা
আয়না জানে ভালো ভাবে তাদের পরিচয়,
জীবনের রঙ্গমঞ্চে কত যে নাটক
অমিমাংসিত শেষ হয়ে
থাকে, ঝুলে রয়
প্রেম ও
বিরংসার চরিত্র গুলো ফেলানো যবনিকার
গায়ে, দর্শক আসে যায়, পান
চিবোয়, নিশুতি রাতে
খোলস খুলে
ভদ্রতার
স্তুতি করে, কৃষ্ণের ছদ্ম রূপ ধারণ করে,
সাহায্যের আড়ালে করে যায়
চীর হরণ, সতীত্বের
নতুন সংজ্ঞা
গড়ে,
মধ্যযুগীন সেই পঙ্গু মানুষ, হাঁটুর উপরে হাত
গুটিয়ে বসে সারা রাত পাহারা
দিয়ে থাকে, সে অর্জুন
কিংবা যুধিষ্ঠির ও
হতে পারে,
নিরীহ
চোখে দেখে প্রতাড়িত এলোকেশী যামিনীর
রক্তাক্ত রূপ, সে দাবার ছকের
বাহিরে লিখে পরাজিত
যোদ্ধার বিস্মৃত
কাহিনী,
আসলে সে জানেই না জীবনের যুদ্ধের ইতি,
মহাভারত ত দুরের কথা - -
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন