নিস্তেজ, ভাষাহীন, দুটি অপলক চক্ষু
কী যেন খুঁজে সারাটা সময়,
রেলএর লাইনে,রাস্তার দু ধারে,
মন্দিরের ভাঙা সোপানে, শুধুই খুঁজে যায়
মানুষ কিম্বা অমানুষ, কেও হাসে, কেও দুঃখিত,
গ্রীষ্ম, শীত অথবা কাল বৈশাখী -- দুই নয়নে
ঝরে যায় প্রাচীন জমানো ব্যথা -- অবশ্যই
অশ্রু ধারার চিহ্ন নাই, অদৃশ্য জল স্রোত --
ভুমিকম্পিত স্মৃতির প্রান্তর, লোকেরা বলে
পাগল মহিলা, বলা তো সব থেকে সহজ
শুনেছি না কি, কুলীন কোন বংশের বধু
ছেলে আমেরিকায় কী লন্ডনে ----
সবাই তো আছে, শাখা -প্রশাখা
জানি না কী যে হারিয়ে গেছে ওনার,
নিস্তব্ধ মুখে তবু ও কোন অনুতাপ দেখি না
শুধুই খুঁজেন কখনো মাটিতে আবার
কখনো নীল আকাশে, সতত অনুসন্ধান //
---- শান্তনু সান্যাল
বাংলা আধুনিক কাব্য গুচ্ছ / BENGALI MODERN POETRY - শান্তনু সান্যাল / SHANTANU SANYAL © It's subject to copyright.
সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০
বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১০
নিজস্ব বলে কিছুই নাই
নিজস্ব বলে কিছুই নাই
প্রতিবন্ধিত রেল লাইনের দুই ধারে
কিছু চেনা অচেনা মুখ, জর্জরিত, ক্লান্ত
শুন্য চোখে শুধুই চেয়ে থাকে -
ঝগ ঝগ সুন্দর এক উচ্চ অট্টালিকা
প্রাঙ্গনে মৌসুমী ফুলের বাহার,
বস্তির সীমান্তে গর্বিত মুদ্রায়-
দাপটের সঙ্গে দাড়িয়ে আছে /
এলোমেলো, অস্পষ্ট চোখের ভাষা
তারা যেন কিছু বলতে চায়
কিম্বা কিছু ভুলতে চায়
ওদের নিজস্ব বলে তো আর
কিছু নাই,যা হারিয়ে গেলে দুঃখ হবে /
কখনো মনে হয় -- বিলুপ্ত প্রাণীর
অস্তিত্ব থাকা বা না থাকা, কোন
প্রশ্নই উঠে না, কার এত ফেলানো সময় আছে /
রাস্তার মাঝে,উড়ান পুলের নিচে,
ভাঙা ফুট পাথে,বৃহত ভাঙান গায়ে জড়িয়ে
সাঁঝের শেষে, পুরাতন কাগজের বিছানা
তারা ঘুমিয়ে পড়ে,
স্বপ্ন মিছিল ফিরে যায় মধ্য নিশীথে,
নিজস্ব বলে তো আর কিছু নাই-
তারা স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়েছে -
বহু কাল আগে //
-- শান্তনু সান্যাল
প্রতিবন্ধিত রেল লাইনের দুই ধারে
কিছু চেনা অচেনা মুখ, জর্জরিত, ক্লান্ত
শুন্য চোখে শুধুই চেয়ে থাকে -
ঝগ ঝগ সুন্দর এক উচ্চ অট্টালিকা
প্রাঙ্গনে মৌসুমী ফুলের বাহার,
বস্তির সীমান্তে গর্বিত মুদ্রায়-
দাপটের সঙ্গে দাড়িয়ে আছে /
এলোমেলো, অস্পষ্ট চোখের ভাষা
তারা যেন কিছু বলতে চায়
কিম্বা কিছু ভুলতে চায়
ওদের নিজস্ব বলে তো আর
কিছু নাই,যা হারিয়ে গেলে দুঃখ হবে /
কখনো মনে হয় -- বিলুপ্ত প্রাণীর
অস্তিত্ব থাকা বা না থাকা, কোন
প্রশ্নই উঠে না, কার এত ফেলানো সময় আছে /
রাস্তার মাঝে,উড়ান পুলের নিচে,
ভাঙা ফুট পাথে,বৃহত ভাঙান গায়ে জড়িয়ে
সাঁঝের শেষে, পুরাতন কাগজের বিছানা
তারা ঘুমিয়ে পড়ে,
স্বপ্ন মিছিল ফিরে যায় মধ্য নিশীথে,
নিজস্ব বলে তো আর কিছু নাই-
তারা স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়েছে -
বহু কাল আগে //
-- শান্তনু সান্যাল
বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০১০
উদ্ঘোষিত আর্যবৃত - -
এই ভগ্ন দেবালয়ের প্রস্তর
আবার হউক জাগৃত,
গোধুলি তে শঙ্খ ধ্বনি
তুলসী তলে পঞ্চ প্রদীপ
নির্ভয় সান্ধ্য বন্দনা
উদ্ঘোষিত আর্যবৃত
গুঞ্জরিত বিজয় গান,
মহাসিন্ধুর উচ্চ তরঙ্গে
ঋচা অভিমন্ত্রিত বহে
জ্ঞানামৃত - -
- - শান্তনু সান্যাল
আবার হউক জাগৃত,
গোধুলি তে শঙ্খ ধ্বনি
তুলসী তলে পঞ্চ প্রদীপ
নির্ভয় সান্ধ্য বন্দনা
উদ্ঘোষিত আর্যবৃত
গুঞ্জরিত বিজয় গান,
মহাসিন্ধুর উচ্চ তরঙ্গে
ঋচা অভিমন্ত্রিত বহে
জ্ঞানামৃত - -
- - শান্তনু সান্যাল
সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০১০
মেরু দন্ড বিহীন সমাজ
মেরু দন্ড বিহীন সমাজ
পুর্বাগ্রাহে গ্রসিত
এক পথিক বহু মুখী বিষধর
পূজা স্থলে করবদ্ধ
জীবন দানের করুনামুখি
...দিগ ভ্রমিত দর্শন
উন্মাদিত অনুযায়ী
রক্ত ও গরল অবিরাম প্রবাহিত
অদৃশ্য শক্তির জন্য
মানব রুধির
জানি না কি ভাবে
ঈশ্বর মহান ----
মানুষ মানুষের জন্য
মায়ের ভাষা এক দিন বলেছিল
আজ এই পথে ছড়ানো রক্ত
তোমায় প্রশ্ন করে -- কোথায়
দেখি তোমার মহান ঈশ্বর
যে করুনা করে -- জবাব চাই //
-- শান্তনু সান্যাল
পুর্বাগ্রাহে গ্রসিত
এক পথিক বহু মুখী বিষধর
পূজা স্থলে করবদ্ধ
জীবন দানের করুনামুখি
...দিগ ভ্রমিত দর্শন
উন্মাদিত অনুযায়ী
রক্ত ও গরল অবিরাম প্রবাহিত
অদৃশ্য শক্তির জন্য
মানব রুধির
জানি না কি ভাবে
ঈশ্বর মহান ----
মানুষ মানুষের জন্য
মায়ের ভাষা এক দিন বলেছিল
আজ এই পথে ছড়ানো রক্ত
তোমায় প্রশ্ন করে -- কোথায়
দেখি তোমার মহান ঈশ্বর
যে করুনা করে -- জবাব চাই //
-- শান্তনু সান্যাল
বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০১০
বিরল কুসুম
বিরল কুসুম
যা ছিল কাছে দেহ ও প্রাণে
সবটাই তো দিলাম তোমায়
অবশেষ কিছুই নাই ----
ওই যেখানে আকাশ ও ধরণী মিলে
মহাসাগর হারায় বহু উচ্চ তরঙ্গ
ঝিনুকের বুকে লিখে যায়
প্রনয় লিপি -- অদৃশ্য অশ্রু বিন্দু,
পাহড়ের গায়ে ফাল্গুনী অগ্নিশিখা
দগ্ধ পায়ে খুঁজেছি বিলুপ্ত হৃদ,
সে এক বিরল বন্য কুসুম
অজস্র প্রনয় সুগন্ধে ভরা
যুগ যুগান্তরে ও যার অশেষ সুরুভি
নভ- জল - ভূ কে সুবাসিত করে,
খুঁজেছি অবিরাম--
যদি পেতাম তোমায় অবশেষে
প্রীতি শুভেচ্ছা সহ দিতাম /
--- শান্তনু সান্যাল
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)