ছুঁয়ে গেছে ত্বক হতে
হৃদয়ের পলকা
প্রদেশ,
জানি উড়ন্ত আবেশ ছাড়া
তোমার আপন কিছুই
ছিল না,
হাত গুটিয়ে পাহাড়ের সেই
উচ্চ বৃষ্টিছায়ার
সীমান্তে
একাকী দেখেছি তোমায় উড়ে
যেতে, সুদুর চিড় -
পাইনের
উপরে যেন দিশাহীন ঘুঁড়ি -
দোল খেয়ে চলেছে
লযবদ্ধ,
কাণ্ড হতে গোড়ার অভিমুখে,
ক্ষুদ্র নদীর ক্ষনিক
চুম্বনে,
নদী উপত্যকার সেই তির্যক
আবর্তে, জিরেন লাগি
ভুলে এসেছ
আভ্যন্তরীণ বস্ত্র, লজ্জা, পরিচয়
জীবনের অর্থ, উঠতে
পারো নি বনের
ঠাড়মোড়,
শ্যাওলা যবক মাখা শৈল শ্রঙ্খলা,
ভারসাম্য হারাবার ভয়ে
বাড়িয়ে ছিলে
হাত,
অদৃশ্য কোনো প্রভুসত্তার দিকে,
সেই সূর্যের জরাগ্রস্ত
আলোয়, টের
পাওনি মনের অক্ষুন্ন প্রতিভাস !
সরু জল স্রোত পার
করতে গিয়ে
নিরুপায় চেয়ে ছিলে মুক সাহয্য,
সেই তারল্য মুহুর্তে, জড়িয়ে
ধরার সহজ বৃতি,
ভাসিয়ে
তুলেছে তোমার প্রেম, জীবনের
অনাম সন্ধিক্ষণে দেখেছি
ভীরু চোখের ঘুম
মোহভঙ্গের
সমাধিস্থ মানুষ, কেশ মুঞ্চিত মুখ
সংকুচিত, ভয়ার্ত নিশাচরী
বিহগ,পথ হারানো
যাত্রী, খুঁজে
শুধুমাত্র, এক রজনীর পান্থশালা,
কড়া নাড়ার শব্দে আমি
আত্মসাত করি,
জীবনের বিষাক্ত অনুভূতি, পেরিয়ে
চলেছি সর্ব বিষ বাধা !