বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১১

আলোর রুমাল

প্রণত নয়নে তার বালুকা বেলায়
অঙ্গীকারের কবিতা, প্রায়
রেখে যায় কিছু ম্লান
অস্পষ্ট শব্দের
খোল,

কুজনের রহস্য রোমাঞ্চ, সাঁঝের -
ক্লান্ত নিঃশ্বাস তুলে রাখে
তার পরিত্যক্ত
শল্কের কিছু
রঙ্গীন

টুকরো, মন চায় ফিরে পাওয়া অবেলার
 জোয়ার, দেহের জোছনা,
জীবনের আঁধার এই
মুহূর্তে চায় পূর্ণ
পরিত্রাণ,

সম্ভবত  সে এখন ঝুলন্ত নাগরদোলা,
ফেলে চলেছে আলোর রুমাল,
তারকের ভিড়ে খুঁজে
হৃদয়ে তার ভেঙে
পড়ার পথ,

চেয়ে রয় স্থির দৃষ্টে মন, বিস্তীর্ণ আকাশ !

-- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/

creator of painting -IRENE FRANKEL 

সৃজনের কাহিনী 

দেখতে চাই নি সে জীবনের ধুসর পৃষ্টে 
লেখা, বাস্তবিক কাহিনী, কুত্সিত 
লোম ভরা বুকের মধ্যখানে 
ত্বক বিহীন সাদা দাগ,
নিভিয়ে গেছে
নিজেই 
আলোর স্রোত, সে এখন বিগলিত তরলতা 
 উচ্চ তাপে আসীন একান্ত রাজমহিষী,
 জ্বলন্ত পথ হতে নেমে যেতে 
চায় সাগর ধরাতলে,
খালি পা, এলো
 কেশ,
 নির্বস্ত্র 
দেহ, বিক্ষিপ্ত ভাবে সে ভালবাসতে চায় 
পরিত্যক্ত প্রবাল দ্বীপ, আমি কাচের
শিল্পী, ঘামানো স্বপ্ন নিয়ে 
দাঁড়িয়ে আছি, অবাক 
অগ্নি কুণ্ডের
সম্মুখীন,
উঠন্ত অগ্নিশিখায় লিখতে চাই শ্রাবনের গান, 
তার উষ্ণ নিঃশ্বাসের বুদ্বুদ, চোখের 
নিঃশব্দ, মায়াবী রূপের  প্রদীপ্ত
বালু  কণা,  এঁকে চলেছে 
অমূর্ত চিত্রকলা,
সেই ক্ষনিক 
তীব্র সময়ে পৃথিবীর আবর্তন হয়ত থেমে  
 ছিল কিছু ক্ষণ, হাতের সেই 
দোলায়মান জাদু  নিমেষে 
রচে গেছে 
প্রেমের 
 অধর চিহ্নিত অভিনব সুরাপাত্র, সামলিয়ে 
রেখে আসলাম সেই উচ্চ  তপ্ত 
ধুম্রময় কৃতি, পারদর্শী 
স্বর্গ, অনন্ত বীথি 
এখন তার 
নিম্নাঞ্চলে উচ্ছলীয় রয়েছে বাষ্পিত উর্মিমালা,
ভেসে চলেছে ঝামা পাথর, হয়ত কালান্তরে 
হয়ে উঠবে সে গুলো রঙ্গীন জীবাশ্মের 
রূপ,বহুমূল্য রত্ন মালা, সৃষ্টির 
বিরল আবেশের দীপ্তি,
প্রেমের দীপশিখা,
সৃজনের 
প্রারব্ধ !

--- শান্তনু সান্যাল 
 http://sanyalsplanet.blogspot.com/