সরাসরিভাবে মনের কথা - -
সহসা যখন জীবন হয় উঠে বেখাপ্পা, নিরস
ভুলে যেতে চায় মন নিয়তির অসম
বন্টন, তখন আঁখি কোণে উঁকি
দিয়ে যায় চঞ্চল চমক,
পলকের ছায়া ঘিরে
নেমে আসে
রাত্রি,
অরণ্য পথে ধীরে ধীরে বন্য কুসুমের
বাড়াবাড়ি, আঁধারে যেন
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জাগরিত,
এই জাগরণের
ঘোরে
জীবন এখন কৃষ্ণ মৃগ, মৃত্যুঞ্জয়, দৌড়িয়ে
ডিঙিয়ে চলেছে নিরন্তর
অনিশ্চয়তার পথে,
সুদুর শুন্যে
ঝুলছে
প্রদীপ্ত বৃত্ত, পরিধির গায়ে আগুনের লহর,
এই জ্বলিত বলয়ের পারে যে গেছে
সে না কি পরিপূর্ণ অমরত্বের
অধিকারী, জন্ম মরণের
মায়াজাল হতে সে
মুক্ত জীব,
মনের দুনিয়া ওই পেঁচানো লিপি পড়তে চায়
না, যা কিছু চোখের আগে সাকার
সেটাই খাঁটি সেটাই আসল,
তার আড়ালে, মোহের
কুয়াশা ছাড়া
কিছুই নাই,
এক শ্বাসরোধিত গুহা হতে অন্য গুপ্ত পথের
আঁধারে পাড়ি দেওয়া, প্রশ্ন চিন্হের
ভিড়ে, বাস্তবিক অর্থের সন্ধান
সহজ ছিল না, অথচ তার
অনুপম, নিশ্ছল
হাসির মাঝে
ছিল
সমস্ত অন্তরিক্ষ, শশী সূর্য্য, পুচ্ছল তারক কি
ধুমকেতু, জ্যোতিপুঞ্জের জগত, যখন
তার বিশুদ্ধ প্রেমের জোছনা
ঝরেছে, উন্মুক্ত হৃদয়ে
আমি করে গেছি
উপাসনা,
সেই
পবিত্র ক্ষণে পাষাণী জীবন হয়েছে শাপমুক্ত !