রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৬

আঁধারের মলাটে - -

ফিরে গেছে অভিহত রাত্রি, যথারীতি আলোর
আঁশ নামিয়ে রাজপথে। নীরবতা ভেঙে
আবার শহর জেগে উঠছে, যেন
সিক্ত কাপড়ে, ঘাটের সিঁড়ি
বেয়ে উঠছে অজানা
কোনো এক
রমণী।
আবার, সব কিছু নিয়মমাফিক, নতুন দিনের
সূচনা, দেহের গন্ধ এখন আনকোরা,
তুলসী বা চন্দনের অনুভূতি।
সকাল যেন এক মহৎ
নদী, দুটি হাত
বাড়িয়ে
মুছে যায় সমস্ত মলিনতা, এখন যে যার মতন
মুক্তপথের যাত্রী, খুলে চলেছে মুখোশ হতে
শিকলের গিঁট, ওই থুত্থুড়ে পুরোহিত
হতে অসময়ের কচি বৈষ্ণবী,
সবাই যেন কাঁচা আলোয়
এখন নিখাদ সোনা।
ভালোবাসা নাকি
মেহেদির
টাটকা পাতা, না পিষলে রং ছড়ায় না কোনো
ভাবে, কিছু গোপনীয় কাহিনী নিত্যদিনের
মতোই থাক আঁধারের মলাটে, কিছু
উজ্জ্বল কিছু নিবিড় ঘোলাটে।
 
* *
- শান্তনু সান্যাল

মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬

সাক্ষী দিতে কেউ রাজি নয় - -

সে এখনো বহে যায় জ্বলন্ত পৃথিবীর বুকে,
এক অভিশপ্ত নদীর রূপে, যদিও
যুগ - যুগান্তর ধরে, ঝরেছি
আমি  শুধুই তার
অভিলাষে !
উন্মাদিত শ্রাবণের সাথে। তবুও সে যেন
চেয়ে রয় চির পিপাসিত নয়নে, বলে
যায় নিঃশব্দ চাহনির গভীরে,
জন্ম - জন্মান্তরের সেই
লুপ্তপ্রায় কাহিনী,
মেক্সিকোর
ওই ধ্বংসপ্রাপ্ত বেদিমঞ্চ হতে অধুনা ইরাকে,
আমি খুঁজেছি শুধুই তাকে, কখনো
নারীর চোখের করুণা ধারায়,
কখনো তার মৃত দেহে
নিরীহ শিশুর
অন্তহীন
জীবনের সন্ধান, দেখেছি তার কচি মুখের
ক্রমে ক্রমে ঝলসে যাওয়া। ওই মরু -
দেশ হতে ফিরেছি নিজের ভেজা
মাটির দেশে, ওই উঠোন
পেরিয়ে  পুরাতন
ভাঙা দেউলের
খুব কাছে
তুমি ছিলে যথারীতি ছদ্মবেশে, মুখোস  - -
পরিহিত, তাই চিনতে পারি নি বন্ধু,
খুলেছি মনের দ্বার উন্মুক্ত ভাবে,
সেটা অন্য ব্যাপার যে তুমি
আজ সাতসকালে গেছো
গভীর কুপিয়ে
আমারে।
এখন আমি খুঁজছি পাথরের শহরে একাকী
কাঁচ ভাঙনের সাক্ষী।

* *
- শান্তনু  সান্যাল