সীমাবদ্ধ
বহু অপূর্ণ আশা প্রত্যাশা জীবনে
সতত ধেয়ে যায় মায়ার পিছনে
ভোরের কচি স্বপ্ন ছিল অর্থবিহীন
বুড়ো খেজুর বৃক্ষ যেন ছায়া ফল হীন,
শ্বাস প্রশ্বাস ও অনেক সময়ে ছিল
দুভর, অনাগ্রহী সন্ধি দেয় নি অনুমতি,
ভরতে চেয়ে ছিল মন জ্বলন্ত রেখাচিত্র
শুন্যের গায়ে আঁকতে ইচ্ছুক
হৃদয়ের তুলিকা অপক্ক বয়সে গেছে
শুকিয়ে,পড়ে রইলো ক এক খুচরো
পয়সা, অজ্ঞাত চিত্রকরের সেই
রহস্যময় খড়ি দিয়ে আঁকা মুখাকৃতির
পার্শ্বে, হেঁটে গেছে যুগ পুরুষ বহুবার -
ওই গর্তভরা ফুটপাথের বুক মাড়িয়ে !
সেই অন্ধগলির মুহানায় ছিলুম
গা ঢেকে, দেখেছি নিলামের রাত্রি,
কোলাহলের মাঝে সেই নিঃশব্দ কান্না,
দুর্বল মাটির হাতের মিনতি ক্রমশঃ
প্রতিমা গেছে পূর্ণ গ্রাসের মুখে, ঘাটের
গায়ে ভেসে এসেছিল কিছু নকল অলংকার
শরৎ সকালে খুঁজে পাই নি তোমার
হদিস, ফিরে এসেছি ভেজা গন্ধ নিয়ে,
সেই ভাঙা আর্তনাদে জীবনের শিহরণ
আজ ও হামাগুড়ি দিয়ে চলে,
অবশ্যই বক্ষ স্থলের প্রস্থ ভাগে কিছু
লোম উঠেছে বহু দিন আগে, কিন্তু কি
পৌরুষের সীমাবদ্ধতা এখানেই যায় থেমে,
--- শান্তনু সান্যাল