যেন সব কিছু হারিয়ে পাওয়া,
আজ ও ভালো লাগে তোমার আড় চোখে
ছুঁয়ে যাওয়া, নিঝুম নীলাভ সাঁঝে
শঙ্খ ধ্বনির মাঝে ওই
সান্ধ্য প্রদীপ ঢেকে নিয়ে যাওয়া,
তুলসীর সামনে হাত জুড়ে কিছু নিম্ন
সুরে গাওয়া, অঙ্গনের আলপনায়
মুচকি হাসির রেখা,তুমি
এঁকে যাও জীবনের পরিভাষা,
পাত্ঝরার দিনে আঁচলের কোন দিয়ে
পুরাতন ছবির কাঁচের ধূল
নিমগ্ন ভাবে মুছে যাওয়া,
আজ ও ভালো লাগে, তোমার শ্যামবর্ণ
মুখের প্রদীপ্ত আলো নিঃস্বার্থ ভাবে
ধুপকাঠির মত জ্বলে যাওয়া,
ওই চশমার ভিতরে দুই সজল আঁখি
যেন শীতের রেশমি রোদ গায়ে মেখে
বসে রয়েছে বারান্দায়,
তোমার ওই সাঠ দশকের বাংলা গানের
আবৃতি, আজ ও ভালো লাগে
অধর বেঁকিয়ে লুকিয়ে হেঁসে যাওয়া,
দুপুর বেলায় বই বুকে রেখে সুপ্ত
অর্ধ খোলা ওই নয়নে
মমতার নৌকা বেয়ে সুদূর ভেসে যাওয়া
ভালো লাগে, প্রতিবেশীর সেই দুষ্টু
মেয়ের আবদারে তোমার অনিচ্ছায় উঠে
যাওয়া, ওই চন্দ্রাকার মুখে ভালোবাসার
সুরভিময় ঢেউর ভেসে যাওয়া
খুব ভালো লাগে তোমায় চিরদিন
মধুমালতীর সঙ্গে এই একান্ত ভাবে,
শুভ্র নিশীথে পরিপূর্ণ মিশে যাওয়া //
-- শান্তনু সান্যাল