মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১১


অবিরামি জীবন 

অশ্বত্থামার পাঁজর ছিল নিয়তির খেলা 
বহুবার উজাড় করে গেছে যুগের 
পরে যুগ, ঘূর্ণিঝড়ের  থাবা,
তত্সত্ত্বেত্ত জীবন 
অগ্রসর, 
তারা চাবুকের আওয়াজে করেছে -
নিলাম মনুষ্যত্ব, রচেছে বহু 
রক্তাক্ত ইতিহাস, 
লিখেছে 
নিজের স্বার্থের বিধি বিধান, দিয়েছে 
যা ইচ্ছে অন্তিম বিচার, পৃথিবীর 
বুকে গড়েছে হাহাকারের 
সাম্রাজ্য, তবু ও 
থামে নি
মুক্তি পথের যাত্রী, নামিয়ে ফেলেছে 
মহানতম রাজনের সিংহাসন 
রাস্তার ধুলায়, লুটিয়ে 
দিয়েছে বহু হিরক 
জড়িত
কিরিটের কুলীনতা, বিশ্ব বিজয়ের 
অহংকার, সেই সাবেকি কাল 
হতে অর্বাচীন জগতে,
অন্যায়ের 
বিরুদ্ধে মানুষের সেই জন্মগত প্রতিবাদ,
অবিরাম যেন বহে চলেছে গুপ্ত 
আগ্নেয় ধারা, সরিয়ে 
রেখেছে 
মহাপ্লাবনের কাল্পনিক কাহিনী, গ্রহের 
বিনাশের ভবিষ্যদ্বাণী, জীবনের 
প্রসার, পার করে গেছে  সর্ব 
মিথক, অঙ্কিত করেছে 
নতুন সংস্কৃতি ও 
সভ্যতা.

- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/








কূল কিনারা 

হাসির আয়ু অল্প কিন্তু দিয়ে যায় অদৃশ্য 
অশ্রু আঁখির কোণে, সে দিন তাই 
হলো, কড়া নাড়ার শব্দ শুনে 
বিরক্তির ভাব নিয়ে 
ছেলে খুলতে 
গেছে 
দ্বার, না মুখ দেখে বলল, মাফ করবেন,
আবার ঠক ঠক, দরজা খুলতে 
না খুলতে, চিত্কার -
হতভাগা নিজের
মাকে চিনিস 
নে, ছেঁড়া জর্জর সেমিজে বৃদ্ধার হাঁপানি, 
জড়ো হলো হালদার গুষ্ঠী, যেন 
চার দিকে ত্রাহি ত্রাহি, আর 
বলিস নে, ওই নাগা 
বাবাদের যুদ্ধের 
কাহিনী,
পরান বাঁচাইয়া ফিরেছি তা দেখবি কেন,
শুধুই জানতে চাস তাদের কেস্সা,
বাসায় ফিরলাম দেখি নিজের 
পেটের পোলা বলে মাফ 
করবেন, ওই যে 
হা করে কি 
দেখছিস, ভূত ভাবছিস না কি, বৃদ্ধার 
ক্লান্ত মুখে কুম্ভ মেলার দাপট, 
ত্রিবেনির পবিত্র মাটির 
দাগ যেন এখন 
দেদীপ্যমান,
বড় ছেলের আবদার একটু বেশি, বললে -
সে জন্যই বারণ করেছিলাম যেও 
না, কারো কথা শুনলে ত,এই
চুপ কর হারামজাদা 
তোকে হাড়ে 
হাড়ে 
 চিনি, ট্রেনের ভাড়ার জন্য যত সব 
ন্যাকামি, আমি সব বুঝি,ন মাস
পেটে রেখেছি বুঝলি, যা  
ফুল কিনে আন দেখি 
যত সব বড় বড় 
কথা আমার 
পূজা দিতে হবে," কুম্ভের স্নানের পরে কি 
আবার স্নান করতে হয় নাকি "
ছেলে ফিসফিসিয়ে 
দরজার 
শিকলে হাত দিল, 
গঙ্গা পর্বের যেন কূল কিনারা নাই - - - -

-- শান্তনু সান্যাল

http://sanyalsplanet.blogspot.com/