মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০১০

পুরাতন এলবাম

অলস পড়ন্ত বেলায় শীতের শিহরন সহজে


বেড়ে যায়, মধুর স্মৃতির ফুল ফোটানো শাল

গায়ে দিতে গিয়ে, ভালবাসা যেন ধুসর হারানো

পুরাতন এলবাম রঙ্গ বিহীন,আবছা- আবছা

বয়েসের ছাপ স্পষ্ট বোঝা যায় প্রণয়ের পৃষ্ঠে,

অকস্মাত বুকের ভিতরে কম্পন বেড়ে যায়

হাত দিতে যেন ভয়, যদি ছিড়ে যায় অযত্নে,

সাঁঝ নামতে না, নামতে ভগ্ন মন্দিরে জানি না

কোন অপরিচিতা প্রদীপ জ্বালিয়ে নিমিষে

সরে যায়ে রঙ্গিন মেঘের আড়ালে---

নিশীথের দাপাদাপি, মধ্যরাত্রি বিনিদ্র চোখে

পুষ্পিত শালের সব কুসুম ঝরে, বুকে আবরণ

আর দরকার হয় না,প্রেমের লেপে হারিয়ে যেতে

ভালই লাগে //

---শান্তনু সান্যাল

নিস্তব্ধ যামিনী

নিস্তব্ধ যামিনী, পিকাসোর একাকী গিটারিস্ট


মনের নিরবে আত্মমন্থন করে যায়

মোনালিসার হাসি ঝরে কোন-

সেউলি বনে, মাইকেল এঞ্জেলোর তুলিকা

কাচা ঘুম ভাঙ্গা শিশুর রোদনে, কিছু অর্থ

খুঁজে বেড়ায়, যিশুর সুপ্ত পলকে শিশির কনা

বিন্দু বিন্দু ঝরে যায়

সারি সারি সহস্ত্র মরিয়ম, হাতে মোমবাতি

ঝির ঝির আলোয় কোথায় যেন

মৌন মিছিল হেটে চলেছে-

এলোমেলো রূপে বৃদ্ধা,রুগী, পঙ্গু, জর্জরিতমুখ

সকাল এখন বহু দূর মরু প্রান্তে

রাজপথের দুই ধারে অর্ধ উলঙ্গ পুরুষ বৃন্দ

অবাক চেয়ে রয়েছে

পূর্ব আকাশ শ্যাম রক্তিম

চিরকুট মেঘের দল ছড়ানো চার দিগে //

---শান্তনু সান্যাল
পিকাসোর সেই একাকী গিটারিস্ট


নিরব ননের গভীরতায় মোনালিসার

হাসির রহস্য নিয়ে আত্মমন্থন করে যায়,

শেষ প্রহরে মাইকেল এঞ্জেলোর তুলিকা

সহসা জেগে ওঠে কাচা ঘুমের শিশুর

ব্যথাভরা রোদনে, যিশুর দুই সুপ্ত চোখে

অশ্রু, বিন্দু বিন্দু ঝরে যায় সারা রাত

দেখি নিস্তব্ধ রাজপথে সারি সারি

মরিয়মদের হাতে মিট মিট মোমবাতি,

মৌন মিছিল হেঠে চলেছে অদৃশ্য দিগন্তে

এলোমেলো বৃদ্ধা,পঙ্গু,রুগী, জর্জরিত মুখ,

সকাল এখন বহুদূর কোন মরুপ্রান্তে

রাস্তার দুই ধারে রোমনযুগীন অর্ধ উলঙ্গ পুরুষ

অবাক চেয়ে রয়েছে,

কোন দেশের যাত্রী, কী যা চায়-

---শান্তনু সান্যাল