বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২


মুখোশ বিহীন 

ব্যবহার ও  নিক্ষেপের মধ্যে হতে অস্তিত্ব কে 
টেনে আনা, খুব একটা দুঃসাধ্য  ছিল 
না, সময়ের  ধারার সঙ্গে তাই 
গা ভাসানো, অনেক 
সিদ্ধান্তের 
মেরুদন্ড শুধুই হিতোপদেশের বইর মধ্যে 
পাওয়া যায়, হাতির দাঁতের মতন 
শুভ্র ঝাকঝক, প্রদর্শনের 
জন্য প্রস্তুত, তার 
প্রেমের রূপ 
বিভত্স বলতে পারব না, সেই দ্বি অঙ্কীয়
নাটকে আমিও ত ছিলাম প্রমুখ 
ভূমিকায়, কালো পর্দার 
আড়ালে  খেলেছি 
স্ফিন্ক্সের
খেলা অর্ধাংশ  মানব কখনো পূর্ণ দানব,
আসলে নেপথ্যের হিংস্র  ভাব 
কোনো দিনেই বাদ পড়ে
না, আঁধার হল 
অনুঘটক, 
বিদ্যুত বেগে ভরে যায় বর্বরতা, আসলে
আদিম ভালভাসাই প্রদান করে 
সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি, মুখোশের  
ঝরে যাওয়াই হলো 
নৈসর্গিক 
সৌন্দর্য্য, মৌলিক, রুক্ষ, নিখুঁত সত্যতা.

- শান্তনু সান্যাল
wild waves - by Penny The Artist




কায়াহীন প্রহরী 

ঠিক বুঝেছ নেহাৎ সোজা সরল মনের লোক,
ঘাঁতঘোঁত, ছল চাতুরী বোঝে না, 
যা বাহির তাই ভিতর, 
সে জন্যই ঠকেছে 
জীবনের 
হাটে, 
তারা গুনি জ্ঞানী ফেলে গেছে শনির বলয় 
বারে বারে, তাদের রাজনীতির 
চক্রান্তে সে এখন দাবার 
ঘুটি, মাত খেয়ে ও 
হেসে যায় 
সমানে, 
তারা সবাই মহাভারতের যোদ্ধা  সুপুরুষ বা 
কাপুরুষ বলা সহজ নয়, শিখন্ডি 
দের কে চেনা মুশকিল, 
হয় ত আঁধার 
কিংবা 
আয়না জানে ভালো ভাবে তাদের পরিচয়, 
জীবনের রঙ্গমঞ্চে কত যে নাটক 
অমিমাংসিত শেষ হয়ে 
থাকে, ঝুলে রয় 
প্রেম ও 
বিরংসার চরিত্র গুলো ফেলানো যবনিকার 
গায়ে, দর্শক আসে যায়, পান 
চিবোয়, নিশুতি রাতে 
খোলস খুলে 
ভদ্রতার 
স্তুতি করে, কৃষ্ণের ছদ্ম রূপ ধারণ করে, 
সাহায্যের আড়ালে করে যায় 
চীর হরণ, সতীত্বের 
নতুন সংজ্ঞা 
গড়ে, 
মধ্যযুগীন সেই পঙ্গু মানুষ, হাঁটুর উপরে হাত 
গুটিয়ে বসে সারা রাত পাহারা 
দিয়ে থাকে, সে অর্জুন 
কিংবা যুধিষ্ঠির ও 
হতে পারে, 
নিরীহ 
চোখে দেখে প্রতাড়িত এলোকেশী যামিনীর 
রক্তাক্ত রূপ, সে দাবার ছকের 
বাহিরে লিখে পরাজিত 
যোদ্ধার বিস্মৃত 
কাহিনী, 
আসলে সে জানেই না জীবনের যুদ্ধের ইতি,
মহাভারত ত দুরের কথা - - 

- শান্তনু সান্যাল
river desert