পুনর্মৃত্যুর পথে
জীবনের এই জটিল চক্রব্যু ভাঙতে গিয়েঅনেক কিছু যায় হারিয়ে, সরে যায় আপন জন
প্রেমের অনর্থক বিলাপের কোনো অস্তিত্ব থাকে না
নিজের শব নিয়ে দাড়িয়ে আছি মণিকর্ণিকা ঘাটে
তারা সবাই সত্যবাদী রাজা হরিশ্চন্দ্র
শ্বশান শুল্কের পণ জানি দেবে না কেউ
আস্তে আস্তে আত্মীয়তার মুখোশ খুলে
মুখ্য দ্বার থেকে ফিরে যাবে নিজের ভবনে
এটা আমার প্রথম মৃত্যু তো নয়
জীবনের রঙ্গভূমিতে কত যে নাটক, প্রহসন
ঘটে যায়, সবাই তা কী মনে রাখে
এই ধর সে দিন তুমি আমার নগ্ন ছবি আঁকলে
জানি কিছু পয়সার জন্য আমি রাজি হলাম
বাঁচার পথ খুঁজতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করা
কোনো আশ্চর্য্যর ব্যাপার নয়
কিন্তু যাদের জন্য এই মরণ আত্মসাত করলাম
তারাই শেষ গায়ে আগুন দিয়ে লিখে দিল
আমি কলঙ্কিত, নোংরা, নষ্ট মানুষ, বাজারু
এই মৃত্যুর ভষ্ম গায়ে মেখে আসলে
আমার আত্মা গেছে অমৃত মন্থন পার করে
তাকে কেউ আর মারতে পারবে না
পার্থ সারথির মতে -
নিজের অন্ত্যসংস্কার করতে গিয়ে দেখি
যারা আমায় ভালবাসত তারা সব ঋণ আগেই
মুক্ত করে, খাতায় এক এক হিসাব লিখে রেখেছে
ওই সমস্ত ভালবাসা, প্রেম, অনুরাগ, প্রণয়
নাটকের গাদা গাদা পৃষ্ট বুকে নিয়ে
নেমেছি তিলাঞ্জলী দিতে, পুনর্মৃত্যু পথে //