বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩

সে যখন আরণ্যক ভালবাসা

কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটে যায় জীবনে, নিঃশব্দ, অনেক সময় মনে হয় যেন নিজের
ছায়া অনুধাবন করে চলেছে,
তখন অস্তিত্ব নিয়ে ভয়
পায় মন, নির্লজ্জ
আয়না চেয়ে
রয়, লোম
প্রতি
লোমের প্রতিক্রিয়া, জানালার ভাঙা কাচের
কপাটে তখন জোছনার চঞ্চল কণা স্থির,
বন্য বেড়ালের মতন ঢুকতে চায়
চাঁদের আলো, গুটিয়ে গুপ্ত
সব নখর, তার
অতৃপ্ত মন
কি দেহ !
বুঝতে গিয়ে হৃদয় হয় উঠে আরণ্যক মৃগয়া,
সে এখন অরণ্য নদী গ্রীষ্ম কালের, রুক্ষ,
শুষ্ক, নির্জলা, নিষ্প্রাণ পড়ে রয়েছে,
বুকের পাঁজর ধরে, তার
অভিলাষের সীমানা,
বৃহত ! আকাশ
কুসুম তুলে
আনার
বাহিরে, তবু আমি সরিয়ে যাই তার কটিবন্ধের
পাথর, শেওলা, জলজ কন্টকের লতা বৃন্ত,
দিবা নিশি ঝুঁকে রয়েছি তার উপরে,
যদি হটাৎ কোনো ভূগর্ভস্থ
স্রোত চমৎকৃত করে
যায় ঊষর ভূমি,
স্বপ্ন গুলোর
বীজাণু
এখনো অভিনব, কাঁচা হলুদের রঙে ডুবানো,
 প্রাণ পণে করে চলেছি খনন, অবিরাম
নিরন্তর, পরিশ্রান্ত মুখে মাঝে মাঝে
তার অধরের কম্পনে খুঁজি
স্পর্শমণি, তার চোখের
ছায়ায় যেন বসে
আছে বিহান,
হাঁটুর উপরে মুখ রেখে, ক্লান্ত, নিদ্রালু চোখে -
চেয়ে আছে তার শ্রাবণী রূপ, মাংসল
শরীর, বীজের মাঝের পথে দেখি
সবুজ রং, কচি পাতার উঁকি,
নদী এখন তীর দ্রোহী,
বহুগামিনি, দুঃখের
দিন মনে করতে
চায় না, শুধু
বহে যেতে
চায়, বহিয়ে নিয়ে যেতে চায় পাথর, অরণ্য,
লৌকিক পরলৌকিক, সমস্ত স্বপ্নের নৌকা
উজানের দেশে।
- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/