কিংবা আঁকতে মন চায় না
আকাশ হয় উঠে গেরুয়া, চাঁদ যেন
ধরেছে বৌদ্ধ ভিক্ষুক রূপ
খালি পায়ে হেঁটে চলেছে অদৃশ্য পথে
ওই উঁচু নিচু রাস্তায় ঝরে যায়
পিঙ্গল বর্ণ শেফালির অগনিত ফুল
বুড়ো বট বৃক্ষের পাখিদের কলরব
সহসা হয় উঠে সনাতন নিরব
শব্দ গুলো খসে পড়ে ধরাতলে
দোলায়মান জটা শিকড়ে জীবন যেন
ঝুলতে থাকে দিবা নিশি
বিপরীত দিশায় নদীর ঢেউ
বহে রয় স্থির ভাবে
নৌকা গুলো সম্ভ্রমে ঘুরে
নিজস্ব বৃতে অবিরাম এক তালে
হাঁড়ির ফেন যেন উথলিয়ে পড়ে
অজ্ঞাত ধুম্র উঠে যায় ক্ষিতিজে
মহা অট্টহাসএর মাঝে কবিতার পংক্তি
দুটি হাত বাড়িয়ে
উলঙ্গ দেহে আগ্নেয় বস্ত্র চায়
আকাশগামী বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের দল
মোক্ষ বা কী যেন প্রাপ্তির আশায় এগিয়ে
চলেছে, পৃথিবীর চাপা ক্রন্দন অস্রবণ করে
আস্তে আস্তে থেমে যায়. যারা শুন্যে থাকে
পিছিয়ে যায় সাক্ষী পটলে
তারা বলে - লিখে যাও যত খুশি
এই দুরুহ কাব্য কত জন যে বুঝে
কৃষ্ণ রুপি দুঃশাসনের এই জগতে অভাব তো নেই /
---- শান্তনু সান্যাল