অভিশপ্ত পাষাণে লাগি নি আজ ও
চরণ ধুলি,অহিল্যা হয় উঠি নি
ক্ষয় গ্রস্ত জীবনের বহু অঞ্চল,
ওরা ছিল হয় তো অন্য গ্রহের
মানুষ,হা করে সমানে দেখে রয়
ছেঁড়া আঁচলে দুগ্ধ গ্রন্থী,
কাঁচের সন্দুকে স্বপ্ন গুলো
উলঙ্গ সুয়ে রয়েছে রসে ডূবে
খোলা গায়ে পরিত্যক্ত শিশু
বিস্ময়ে চেয়ে থাকে গোল সকাল
স্থির দাড়িয়ে চিন্তামগ্ন, চকের
ষাঁড়, চিবিয়ে চিবিয়ে ভেবে চলেছে
রাত্রি র ষড়যন্ত্র,গুঁতোর ভয়ে পাস
কেটে হাঁটছে সাঁঝ, বড়ই ভদ্র লোক
উর্দিওয়ালা নেকড়ে বাঘ মধ্য রাতে
গন্ধ শুঁকে বেড়ায়,স্টেশনে,পার্কে
কি ভাবে চুষবে কঙ্কালের লেপ্টানো
ক এক বিন্দু রক্ত,মাংস,মজ্জার
রেষা , বিভত্স স্বপ্নের মাঝে
কিছু ঘুমিয়ে মন হয় উঠে
ঘোলাটে সূর্যের মরা রশ্মি ,উড়ান
সেতুয়ে আবার বেগবান জীবনের
রেখাচিত্র দৌড়িয়ে চলেছে অনন্ত
পথে, ফুটপাথের নেড়ি কুকুরগুলো
এখনো গুটিয়ে ঘুমোতে চায়, এক চোখ
খুলে, নোংরা থলির বাহিরে উঁকি
দিয়ে চলেছে পুই ডগার কচি পল্লব
বৃদ্ধ ভাবনা লুঙ্গি উঠিয়ে খুবই
কষ্টে উঠতে চায় তেতলায়,সিঁড়ির
ঠিক নীচে জীবন রয়েছে আজ ও
ময়লা,দুর্গন্ধে ভরা,বিশ্রী,ফেলানো
তোষক,বালিশ,মাদুর ও তেলেপোকা
কোথায় যেন আমিও রয়েছি
হয় ত এখানেই আসে পাসে, যান উঠে
যান ডিঙিয়ে যে ভাবে পারেন -
-- শান্তনু সান্যাল