বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১২


বিরল বীথিকার পথে - - 

পাহাড়ের গা ভিজিয়ে উড়ে গেছে, প্রাক মৌসুমী 
সমীরণ, খোলা জানালার জগতে আছে 
মনের সজলতা বাকি, কিছু আর্দ্র 
অনুভূতি, সে রেখে গেছে 
মিষ্টি অদ্ভুত গন্ধ,
দেহের 
পরিলেখে জেগে আছে প্রগাঢ আবেগের  বিন্দু, -
উড়ন্ত যবনিকার চুনটে ঝুলছে উন্মুক্ত 
ভালবাসা, যেন ছুঁয়ে গেছে 
রুপালি আলো ধীর 
বেগে সেই 
কাঞ্চনজঙ্গার চূড়া, তার চাপানো হাসির কণা
ছড়িয়ে রয়েছে এখনো, তাই ঝিলমিল 
জীবনের মলিন আয়না, কোথা
হতে ক্ষিপ্র সুরভি ভেসে 
আসছে যেন 
অবেলায় 
ফুটে চলেছে হাসনুহানা, সুদূরে শ্রাবণ হয় ত 
দিয়ে চলেছে চরমপত্র, দোষ দিও না 
যদি ভেঙে যায় ভাবনার 
জলাধার, মহা 
প্লাবনের 
পূর্বাভাস, ঝিলের ওপারে নেমে আসছে মেঘের 
সঘন ছায়া, উড়ে যাচ্ছে নীলাভ ছাই 
রঙ্গী সারসের দল, আকাশের 
বুকে অশনি সংকেত, 
কিংবা তার 
প্রণয়ী সৃজনের প্রারব্ধ, নৈসর্গিক বিলুপ্ত সৃষ্টি! 

- শান্তনু সান্যাল
PAINTING BY FRANK ARID 

জীবন দর্শন 

শ্বেত ও শ্যামের সৌন্দর্য্য বুঝতে চায় নি সে কোন 
দিন, কেবল সপ্তরঙ্গী ঢেউতে ভাসিয়ে নিতে 
চায় জীবন, চোখের ভালো লাগা টাই 
তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, মনের 
প্রতিফলন অর্থহীন, 
বাস্তবতা ও 
স্বপ্নের তফাত হয় ত সে বুঝে উঠতে পারে না, 
কিংবা অদৃশ্য আতঙ্কে সে ছুঁতে চায় না 
শুকানো ক্ষত স্থান, আসলে
চার জনের মধ্যেই ত 
সে এক জন, 
আলাদা 
চিন্তা ভাবনা নিয়ে জীবন যাপনের কি কোনো 
মানে আছে, কোথায় যেন সে ও ঠিক,
কোথায় যেন আমি অতিরিক্ত, 
এই ভিন্নতার মাঝ খানে 
দেহ ও প্রেমের 
মিলন, 
আমার চাহিদা হয় ত তার থেকে দ্বিগুণ বেশি 
অথবা সে শুধুই আমায় এক ক্ষুদ্র নদী 
ভাবে, এক বিরোধাভাস, এবং 
অন্তহীন বিশ্লেষণ, না 
সে বিজয়নি 
না আমি 
পরাজিত যোদ্ধা, তবুও তার তর্কের আগে নত 
মস্তক, তার নিসর্গ দর্শনে খুঁজি বুদ্ধের 
মধ্যম মার্গ, তাই বানপ্রস্থ হতে 
ফিরে আসি ধরে সান্ধ্য 
কালীন লোকাল, 
সে এখন 
যশোধরা, আমি দাঁড়িয়ে আছি নিয়ে শুন্য পাত্র,
দরজায় অবিরাম কড়া নড়িয়ে চলেছি,
শঙ্খ বেলায় তার মাথার সিঁদুর,
ভাঙিয়ে চলেছে ভীষ্ম -
প্রতিজ্ঞা, তাই 
ভুলে যেতে 
চাই আলো ছায়ার খেলা, ধেয়ে চলেছি রং ধনুর 
পিছনে পিছনে বহু দূর - - - 

- শান্তনু সান্যাল 
the blooming flowers