অরণ্য নীরবতার সমানান্তরে, মনের
আর্তনাদ যায় বহুদূরে, অদৃশ্য
বেদনা নিঃশব্দ ধায় পিছু,
অনবরত সারাটা
জীবন, বুঝেও
না বোঝার
নাটক
ছলে হৃদয় প্রতি পলে, সেই অনুষ্ঠানের
ক্ষুধিত অন্ধ বৃদ্ধা, পথ চেয়ে রইলো
দুটি গ্রাস অন্নের আশায়, আনন্দ
আবেগে কে যে মনে রাখে,
বাড়িতেও আছে এক
পুরাতন প্রাণি,
হাসি
হুল্লোড়ের মাঝে সবাই গেছে তারে
ভুলে, অনেক সময় মানুষ খুশির
প্রবাহে ভুলে যায় পাসের জন,
সাজিয়ে রাখে বাহিরের
ভুবন আলোক সজ্জিত,
সম্ভ্রান্ত, কুলিনতার
প্রদর্শনীতে
হারিয়ে
যায় ভালবাসা, আলনায় ফেলানো
যেন পুরনো ছেঁড়া ধুতি,
সমারোহের সমাপনে,
এক নিরীহ শিশু
জানালো -
“ঠাকমা
খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছিল বাইরে ওই
ফেলানো উচ্ছিষ্ট কলা পাতায়,
আমি দেখেছি” গর্ভের ঋণ
নিয়ে ছেলে হাজির,
থাল ভরা মিষ্ঠান্ন,
রাগ কিংবা
অনুরাগের
চিৎকার,
নিস্তেজ চোখের উত্তরে, কোনো ও
গ্লানি, দুঃখ ছিল না, “আর
খাব না রে, আমি ত
খেয়ে নিয়েছি !”
এই সন্তুষ্টির
মাঝে
আশীর্বাদের ছাড়া কিছুই থাকে না,
দৃষ্টিহীন হয় ভালবাসা শুধুই
দেখে অন্তর্মনের গভীরতা
বাহ্য জগত অর্থহীন,
বড়ই কঠিন, দুর্গম
এই হৃদয়
অরণ্যের নীরবতা, ছায়া হয়ে ধায়
নিরন্তর মৃত্যু পর্যন্ত অজ্ঞাত
তৃষ্ণা মুখীন - -
- শান্তনু সান্যাল