সাঁঝের নিরবতা, সাগর সৈকতে করে
ইঙ্গিত, কোথাও যেন থেমে আছে
দক্ষিণা সমিরণের বিষন্নতা, আকস্মিক
ভাবে শান্ত ভাবনার তরঙ্গ উঠে
চলেছে আনতে ঝঞ্ঝাবাতের কালরাত্রি
এই বন্য, অবাধ, উন্মত্ত লগনে
হয় ত নিহত হবে হৃদয়ের কচি স্বপ্ন
সমারোহের পরম ক্ষণে ফিরে ও
দেখি নি সে, যদিও প্রেম আহুতির পথে
হৃদয় ফেলানো ছিল স্বরলিপির দেহে
আঙুল স্পর্শে তবু ও গান হলো না জীবন
সে সরিয়ে গেছে, আহত সংবেদনা
অমনোযোগে ,ঝুলন্ত বাতিদানের ভাঙা আলো
ঝরেছে চারদিগে নির্বিচার ভাবে
দেখেও দেখি নি ওই চোখের নীল জোছনা
বাড়িয়েছে বহির্ভূত জীবনের আঁধার
সজল বারিদ উড়ে গেছে বেহিসাব
বিলম্বিত রাতে, তাপ দগ্ধ মনের মরুভূমি
প্ত্রতিক্ষারত, ঝরি নি কৃপণ আকাশ
বিন্দু বিন্দু, তিলে তিলে, জ্বলেছে জীবনের
বিস্তৃত ভূ ভাগ,দাবানলীয় প্রতিশোধে !
অন্তরিক্ষের কুয়াশায়, অবলেহিত মৃতিকার
পাত্র রইলো পুষ্প বিহীন, পুরাকালীন
কোন সমাধিস্থ, আকাঙ্ক্ষিত জীবাশ্ম রূপে
ভুলে ও সে দেখি নি নিভে যাওয়া দীপ
নিঃশ্বাস থেমে ছিল কিন্তু তার হাসির জন্য
সেই পরকীয় মুগ্ধতা জানিয়ে গেছে
জীবনের অর্থ,অশ্রু ঝরি নি তবু সে মুহুর্তে
প্রথম প্রণয়ের পরিনিতি বুঝিয়ে গেছে
পুরুষ হবার মহত্ব, দিয়ে গেছে অগ্নি স্পর্শ.