নিরবতার চুক্তি
তাই খরতার আন্দাজ করতে পারি নি, বুকে
টানি নি, শুধুই বিষন্ন তারের মত চুলে
হাত বুলিয়ে বলেছিলাম - আমি
তো আছি, চিন্তা কিসের,
জীবন তখন এক
হারানো
শিশু, সরল মনে ধরে ছিল মধ্যমাঙ্গুলি, হয় ত
বুঝতে পারি নি কত মুশকিল ধোঁয়া
ভরা পথে হাঁটা, ওই বোতাম
ভাঙ্গা শার্ট টেনে সে
দুই ভাঙা
দাঁতের মাঝে হেসে ছিল মিষ্টি হাসি, দুই ছোট্ট
চোখে দেখি জোনাকির ঝিলিক,
উড়তে চেয়ে ছিল সে
তখন, আমার
অস্তিত্ব
ডিঙিয়ে বহুদূর, যেন গাঙ চিলের ডিগবাজি
হাতছানি দিয়ে ছিল তাকে, কিন্তু
সে কোনো দিনই হাত
ছাড়িয়ে যেতে
পারি নি,
সরে যাওয়া কি এতই সহজ, সে আজ ও করে
ছটপট, ধরতে চায় প্রজাপতির রং,
ছুঁতে চায় স্বপ্নের গন্ধ, বায়ুর
রূপ, জলের অণিমা,
জানতে চায়
ফোঁকলা মুখের দুগ্ধদাত্রী গন্ধের ভবিষ্যত,জানি
না কে যেন অদৃশ্য হাতে মনের আঁচলে
বেঁধে রাখে দিবা নিশি, সে যেন
চেয়ে ও হতে পারে না
গৌতম, সে জানে
তার সঙ্গে
জড়িত আছে কোলাহলের নিরব থাকার চুক্তি,