প্রস্তর শিল্পী
অপূর্ণ ভাষ্কর্য, রাতের পরিপক্বতার সঙ্গে, ছড়ানো
অশমিত অভিলাষা, প্রবল আগ্রহে টেনে রাখে
শিল্পীর মধ্যদেশ, স্বেদগন্ধিত জলোচ্ছ্বাস,
চুষে নিতে চায় সমস্ত পরিশ্রান্তি, শর্ত
সামান্য, কি অসাধারণ খুবই
জটিল প্রশ্ন, তার গভীর
গহ্বরের মুখে যেন
লেগে আছে
রক্তিম
কণিকা কিংবা উড়ন্ত পরাগের পুনরূত্পাদী চূর্ণ,
সৃষ্টির কোষ অণু কোষে, ধীরভাবে এখন
স্বপ্নের মকরন্দ, অর্ধ প্লাবিত মনের
মালঞ্চ, জীবনের এই সন্ধিক্ষণে
নিশি পুষ্পের আলোড়ন,
নিষ্ঠিবনে দুষ্প্রায়
আস্বাদন !
দ্বৈত
শরীর মায়াবী আঁধারে, অভিন্ন রূপে, পরস্পর যেন
মিলে মিশে, বহ্নিশিখার তরঙ্গে আকাশমুখী,
চাঁদ ওঠার আগেই জোছনার আভাস,
আশ্চর্য্যর কিছু নাই, শিল্পীর প্রেম
গড়ে চলেছে নিশুতি রাতে,
পরিপূর্ণ প্রেয়সীর রূপ,
তার পরিপুষ্ট
বাহুর
পেশী, এখন ছেনি, হাতুড়ি বিহীন, শুধুই লৌহ অধরে
ভরে চলেছে প্রাণবায়ু, পাষাণ অস্বাভাবিক রূপে
শেষ প্রহরে অভিসারিকা, জড়িয়ে থাকতে
চায়, যুগে যুগে, বুকের পাঁজর ধরে
ঝুলন্ত যেন শুন্যের নিহারিকা,
জীবন থামিয়ে রাখতে
চায় অতিবাহন
চঞ্চল মুহূর্ত
গুলো
অন্তহীন, চিরন্তন - - -