চৈত্র মাসান্তে সেই নৈসর্গিক হ্রদের
অনেকটা জলীয়ভূমি গেছে শুকিয়ে
সুদূর নগ্ন, ধু ধু পাহাড়ের সীমান্তে
মরিচিকা সম রয়েছে কিছু
সজল ভালবাসার দিনগুলি,
ওই মহুয়া বনের ছাই রং বন পথ
হয় তো কিছু সুকনো
কিংসুক কুসুম কিংবা
কৃষ্ণ মৃগের করুন ডাক,
ভেসে যায় পল্লব বিহীন বিতানে,
নল, দময়ন্তী ও রাজ হংস
এই ত্রিকোনের মাঝে কোথায় যেন
আছে, সেই অলৌকিক বৃক্ষ
গাছের কাণ্ডতে লিখিত রয়েছে
প্রণয়ীদের অজ্ঞাত নাম
আদিবাসীরা বলে, গ্রীষ্ম কালে
দাবানলের তাপে শাখা প্রশাখায় নাকি
অসংখ্য ফুল ফুটে রয়
কিন্তু সেই দৃশ্য সবাই দেখতে পায় না
শুনেছি, ভরা পূর্নিমা রাতে
যুগল অগ্নিস্নান করলে, সেই দুর্লভ
প্রসূন দেহে প্রণয়ের সুধা ঢালে
সে যে এক স্বর্ন খনির শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়া
জানি না কত জন এই ব্রত অঙ্গীকার করে //
-- শান্তনু সান্যাল