জীবন খেলা
অনেক স্বপ্নের প্রতিফলন থাকে লুকিয়ে
গভীর, অন্ধকারের বুকে, সঠিক
সময়ে ফুটে জীবনের বৃন্তে,
অপ্রত্যাশিত শতদলের
কুঁড়ি, যুগ ভুলে
যায় তার
অশ্রু জল, পাষাণের কৌটোতে সেই বেদনা
কালান্তরে হয় উঠে কেলাস নীলা,
যারা সরিয়ে দিয়ে ছিল এক
দিন উঠন্ত হাতের অর্ঘ্য
সেই হাতের ছায়া
চায় জীবনের
মরুভূমি,
সে খুলি নি দ্বার, সন্ধ্যা আরতির বেলা
গড়িয়ে গেল, তার কম্পিত
হাতের প্রদীপ গেছে
ফসকে পড়ে
দেউলের সোপানে, যখন বাড়ন্ত হাতে
সে দেখল মৃত্যুর দিনাঙ্ক, বন্ধ
গৃহে আরশির সম্মুখে সে
করেছে আত্মস্বীকৃতি,
ভুলের
স্বীকারোক্তি, একান্তে কেঁদেছে প্রাণ খুলে,
নিরবতায় ছিল সান্ত্বনা, প্রতি
কড়া নাড়ার শব্দে শিহরে
উঠেছে হৃদয়, ভয়
আতঙ্কে ঘুম
যেন
গেছে পাড়ি দিতে সাত সাগর পারে,
দাঁড়িয়ে তখন আত্মা অশোক
সম্রাট, প্রণত গ্রীবা,
ঝুলন্ত স্কন্ধ !
একাকী
অস্ত্র বিহীন শুন্যে চোখে খুঁজছে মৃত আহত
আপন জন, চার দিকে অতৃপ্ত দুঃখী
ছায়া, চাপা কান্না, গোঙানি,
এখানে ধর্ম পরিবর্তন
অর্থহীন, বৃথা
শুধুই
পলায়নের ছাড়া কিছুই নয়, রাত্রি শেষে
পুজারী খুলে দিয়েছে সমস্ত জ্ঞাত
অজ্ঞাত প্রবেশ কপাট,
নামিয়ে ছদ্ম
আবরণ,
অর্ধ উলঙ্গ দেহে মাখতে চায় সে এখন
চিতা ভস্ম, চায় মুক্তি স্নান, ডুব
দিতে গিয়ে দেখে, নদীর
জলধার গেছে সরে
দূরাঞ্চলে,
যেখানে পরিত্যক্ত নিয়তি করে বসবাস,
জীবন অপরিভাষিত এখানে, বর্ণ
রং, রূপ, গন্ধ বিহীন , শুধুই
গাহে অহর্নিশ প্রণয়ের
গান, দুঃখ বেদনার
মাঝেও তারা
চায় না
পরিত্রাণ, শুধুই করে যায় যুদ্ধ অগোচর !
এই জীবন সংগ্রামে, প্রচলিত
দর্শন কেবল ভূমিকা
হীন পাত্র, নিয়ে
হাতে অদৃশ্য
যবনিকা,
চেয়ে রয় আকাশপানে, কিন্তু জীবনের খেলা
অগ্রসর সকালের অভিমুখ ---