আম্র মুকুলিত ওই হাসির মঞ্জিরি
পৌস মানে না পূর্ব ফাল্গুনী, চঞ্চল সমীরণ
স্বর্ণ চম্পক বরন সেই রূপের আলো
সাজিয়ে রাখে অরুনোদযের পথ বিস্তীর্ণ,
ব্রহ্ম মুহুর্তে তুমি হয় উঠ সজাগ
হৃদয় নদীর ধারে বিশৃঙ্খল অর্ঘ্য রূপে,
নিঃশব্দ শঙ্খ ধ্বনি ! হারানো দীর্ঘ নিঃশ্বাস
নিয়ে তোমায় হেরি মন্দির সোপানে,
কম্পিত যজ্ঞ শিখা সুবাসিত ধুম্র বলয়
আমি ভুলে যাই বৈদিক ঋচার মন্ত্র খানি,
উত্তরীয় বিহীন বক্ষে তুমি এঁকে যাও
কোন অদৃশ্য লিপিতে মহা কাব্য কিংবা
মৌন ভাষায় রচিয়া যাও জীবনের মধু অর্থ,
ওই কোমল গ্রীবায় জড়ানো, ভেজা আঁচলে
রাখো প্রণয়ের অগ্নিশিখা, লহরিয়া কেশের
জল বিন্দু মৃদু সুরে বলে যায় স্বাহা,
বৃন্দ লয়ে ঝরে যায় আকাশ কুসুম অবিরাম,
পূর্ব গগনে, অমৃত কুম্ভ যেন যায় উচ্ছলীয়,
প্লাবিত সূর্য্য ভেসে যায় সজল অন্তরীক্ষে,
ভাব শুন্য আমার চোখে তুমি সাজিয়ে যাও
অসংখ্য দীপমালিকা, হাতে পূজার থাল লয়ে
তুমি নেমে যাও ধীরে ধীরে
স্থির নদী গর্ভে, মহা স্রোত রূপিনি, সেই
জলাবতরণের অসংখ্য আভায় হয়ে উঠে
পরিতৃপ্ত চরাচর, পৃথিবী নভ, পাতাল ও মনের
অথৈ গভীরতা, তুমি করে যাও এমন ক্ষণে
প্রতিষ্ঠিত, জীবনের অসীম অনন্ত প্রভুসত্তা.
--- শান্তনু সান্যাল