শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১১


পার্শ্বপথের যাত্রী 

ক্রমশঃ অন্তরণের ভাব নিয়ে তার দূরে সরে 
যাওয়া, হয় ত ইঙ্গিত করে গেছে 
বহু আগেই, টের পাই নি 
মনের কিনারা, যখন 
সে এক শীর্ণ জল -
ধারা, বৃষ্টি 
যাযাবর,
উড়ে চলেছে উদ্দেশ্যহীন এখানে সেখানে -
জানার সত্তেও যে সে আর ভালবাসে 
না, আমি খনন করেই চলেছি 
বুকে লুকানো বালির 
ধ্বসে যাওয়া 
জল কূপ,
সেই সকাল থেকে সন্ধে, নন্দন থেকে 
পুরোনো বইর পাড়া, খুঁজেছি সেই
শুকনো ফুলের শিরায়
ঘনীভূত ক একটা 
শিশির ফোঁটার 
ঠিকানা,
জন অরণ্যের মাঝে সাঁঝের আলোয়, এখন 
রঙ্গীন চিরকুট, টুকরো টুকরো 
উড়ে চলেছে ধুসর জামীরা
আকাশে, ছুঁতে চায় 
দূরগামী 
উড়োজাহাজের লাল সবুজ আলোর ফুলকি,
স্বপ্ন দেশান্তরী, নিশীথরাতে নাকি 
গান করে, নাচ করে,
মূর্চ্ছিত বুকে প্রাণ
ভরে, সাগর 
পারে,
আমি হেঁটে চলেছি একাকী ফাঁকা পথে বহু দূর,
শহর এখন অমূর্ত অবুঝ চিত্রবীথি,দর্শক
বলতে আকাশের জগত, চেয়ে 
আছে উন্মুক্ত বক্ষের
সমাধিস্তম্ভের 
দুর্বোধ্য 
লিপি.

--- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/
source - pinoy exchange 


সিক্ত ঝরা পাতা 

না, আমি চাই নি সে দিন তোমাকে ভালোবাসতে,
শুধুই চেয়েছিলাম একান্ত পুতুল খেলা খেলতে, 
তোমার শ্যামবর্ণ দেহে কিছুই এমন ছিল 
না, যে অনায়াসে করে যেত উদ্বেলিত
প্রসুপ্ত পৌরুষ গ্রন্থী, জানি না 
কোন মুহূর্তে কেন যে 
এমন হলো, হঠাত
দেখি তুমি 
ভেসে চলেছ স্নায়ুর ভিতরে, রক্ত কণিকার রূপে, 
সন্ধে ঘিরে যখন নামল ছিঁটে ফোঁটা বৃষ্টি,
জানালার ধারে দেখি লুকিয়ে চলেছে 
অচেনা কোন এক পাখি, আমি 
চেয়ে ও জানালা দিতে 
পারি নি, কোথায় 
যেন তোমার 
নিরীহ 
চোখ, নীড় বেঁধে চলেছে তখন হৃদয়ের মাঝে,
আবার এক দিন ভিজা পাখির মত
দেখি তুমি দাঁড়িয়ে আছ 
দরজায়, ঘামিয়ে 
একাকার, 
মন 
হয়ে উঠলো সহজে অশ্বত্থ গাছ, ছায়াচ্ছন্ন তোমার 
শ্যামলা শরীর হয়ে উঠেছে সেই ক্ষণে 
অঙ্কুরিত নব কিশলয়, বুকের 
আশ্রয়ে তুমি তখন পূর্ণ 
নারী, সৃজনের পথে 
অগ্রগামী,
তুলনার চিত্রলেখে তুমি শীর্ষ বিন্দু, আমি খুঁজে 
চলেছি অধোবিন্দুর সমাপ্তি, সেই অক্ষের 
ধরাতলে বহু বার  তুলে নিয়েছ 
আমায়, আমি তখন ঝরা 
পাতা চেয়ে আছি 
শিশির বিন্দু.

-- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/