পার্শ্বপথের যাত্রী
যাওয়া, হয় ত ইঙ্গিত করে গেছে
বহু আগেই, টের পাই নি
মনের কিনারা, যখন
সে এক শীর্ণ জল -
ধারা, বৃষ্টি
যাযাবর,
উড়ে চলেছে উদ্দেশ্যহীন এখানে সেখানে -
জানার সত্তেও যে সে আর ভালবাসে
না, আমি খনন করেই চলেছি
বুকে লুকানো বালির
ধ্বসে যাওয়া
জল কূপ,
সেই সকাল থেকে সন্ধে, নন্দন থেকে
পুরোনো বইর পাড়া, খুঁজেছি সেই
শুকনো ফুলের শিরায়
ঘনীভূত ক একটা
শিশির ফোঁটার
ঠিকানা,
জন অরণ্যের মাঝে সাঁঝের আলোয়, এখন
রঙ্গীন চিরকুট, টুকরো টুকরো
উড়ে চলেছে ধুসর জামীরা
আকাশে, ছুঁতে চায়
দূরগামী
উড়োজাহাজের লাল সবুজ আলোর ফুলকি,
স্বপ্ন দেশান্তরী, নিশীথরাতে নাকি
গান করে, নাচ করে,
মূর্চ্ছিত বুকে প্রাণ
ভরে, সাগর
পারে,
আমি হেঁটে চলেছি একাকী ফাঁকা পথে বহু দূর,
শহর এখন অমূর্ত অবুঝ চিত্রবীথি,দর্শক
বলতে আকাশের জগত, চেয়ে
আছে উন্মুক্ত বক্ষের
সমাধিস্তম্ভের
দুর্বোধ্য
লিপি.