বুকে জড়িয়ে সেই বোবা বিগ্রহ, কে তুমি হে !
বিষন্ন বৈষ্ণবী, ঘাটের চাতালে বসে
কার লাগি পথ চেয়ে আছো,
ডুমুর ফুল ফুটে ছিল না
কি, কেউ ত দেখি
নি, জানি না
কেন
নিঝুম রঙ্গীন সাঁঝে ফেলে চলেছ আঁখি জল,
তার প্রেমে ছিল দৈহিক গন্ধ, তাই
সহজে ফুরিয়ে গেল, নদীর
এক ডুব জলে, হৃদির
সেই শূন্যে ভরতে
পারি নি,
অনন্ত উপাসনার মর্ম , শুধুই মধুকর হয়ে
ঘুরে গেছে ফুলে ফুলে, গন্ধে গন্ধে
ভরা শ্রাবণে যেন রইলো সে
তৃষিত, অতৃপ্ত, তথাপি
অন্তরে ছিল সুধা
প্লাবিত ভুবন,
বাহিরে
খুঁজে গেল সে আজন্ম, সুজনের প্রেমে অন্ধ
লুটিয়ে গেছে দেহ ও প্রাণ, মনের
গুপ্ত গর্ভ গৃহে সে পাই নি তার
দেখা, বহুধা সোহাগ
ঢেকে অন্ধকারে
সে ফিরে
এসেছে উদাস মনে, রাধা ও মীরার মাঝে
খুঁজেছে সে তার হারানো পরিচয়,
অলৌকিক ও লৌকিক জালে
জলবিহীন মাছের যেন
নিয়তি, প্রাণ প্রতিষ্ঠা
সদাই রইলো
অপূর্ণ,
বৃথা গেল দেহের উষ্মা, নিবন্ত অষ্ট প্রহর
জ্বলে নি মনের প্রদীপ, ভাসন্ত সুখ
গেছে উড়ে যেন এক শাপিত
স্বর্গ, হাতছাড়া জীবন
এখন খুঁজে বেরোয়
খাঁটি প্রণয়ের
হদিস, বিক্ষিপ্ত ভাবনা নিয়ে উড়ে যায় শুষ্ক
মেঘ, আকাশ পথে জানি না
কোথায় - - -
-- শান্তনু সান্যাল