এমন কি হারিয়ে বসে আছি বিষন্ন মনে
নীহারিকার জগতে ঘটে না শুন্যতা
ঝরুক না পিঙ্গল জীর্ণ পল্লবের উদাসীনতা
সৃষ্টির রাগ অনুরাগে উঁকি দিয়ে যায়
জয় পরাজয়, নানা রঙ্গে, বিভিন্ন রূপে
জীবনের নিখোঁজ দৃষ্টান্ত, অপ্রকাশিত গন্তব্য !
ধরে রাখতে চেয়ে ছিলাম ভরা পুর্ণিমা রাত
সাগরের উন্মাদিনী উর্মিমালা গেছে ভিজিয়ে
অন্তকরণ, সাজিনি তবু আকাশের নিয়তি
অতৃপ্ত মনের প্রাঙ্গণে, একাকী বসে সারা রাত
দেখি আমার ছায়া সরে গেছে দূরে, বিরক্তির সুরে
অদৃশ্য জগতে যেতে চায়, পরিচয়হীন হয়ে
গড়তে গিয়ে মাটির প্রতিমা, ভুলে যাই বারে বারে
ত্রিনেত্রের গভীরতা, চিত্ত যেন কাঁচের পাত্র
ভেঙে যায় সহসা, মাটির বুকে যায় লুটিয়ে
রঙের চঞ্চল কণিকা, মুহুর্তে ধুলিশাত
নিয়ে আসি নারিকেল খোল, ভরে যাই ধুসর রং
ডুবিয়ে তুলিকা এঁকে যাই জীবনের এলোমেলো ছবি
আপনমনে ডুবতে গিয়ে ভেসে উঠি তোমার স্পর্শে
নিঃশব্দ পায়ে পার্শ্বে দাড়ায়ে কাঁধে মুখ রেখে
ছুঁয়ে যাও তুমি, আমার বক্ষের বিশালতা
মেরুদন্ড শীর্ষে, অধর উষ্মা জাগিয়ে রাখে পৃথিবী,
আঁধেরেও এগিয়ে যাই, ত্রিনেত্রের সীমানায় তুমি -
হেসে যাও ইন্দ্রজালিক হাসি, প্রণয়ের পরিপূর্ণতা !
বাড়িয়ে দাও সহজে নিজের হাতে, ধনু, খড়গ, কবচ
মাথায় রাজতিলক ! অভিশেখের এই বেলায় আমি
প্রেমের শতদল প্রতিদান করে যাই, সজল হয় উঠে
তোমার অধরের পুরাতন মরুভূমি, বিস্তৃত ভাবে ভরে
যায় বন্ধ্যা বসুধা, অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজে উঠে অরণ্য
নিঃশ্বাসে ঝরে জীবনের অনন্য স্বেদ মাখানো গন্ধ !
- - শান্তনু সান্যাল
নীহারিকার জগতে ঘটে না শুন্যতা
ঝরুক না পিঙ্গল জীর্ণ পল্লবের উদাসীনতা
সৃষ্টির রাগ অনুরাগে উঁকি দিয়ে যায়
জয় পরাজয়, নানা রঙ্গে, বিভিন্ন রূপে
জীবনের নিখোঁজ দৃষ্টান্ত, অপ্রকাশিত গন্তব্য !
ধরে রাখতে চেয়ে ছিলাম ভরা পুর্ণিমা রাত
সাগরের উন্মাদিনী উর্মিমালা গেছে ভিজিয়ে
অন্তকরণ, সাজিনি তবু আকাশের নিয়তি
অতৃপ্ত মনের প্রাঙ্গণে, একাকী বসে সারা রাত
দেখি আমার ছায়া সরে গেছে দূরে, বিরক্তির সুরে
অদৃশ্য জগতে যেতে চায়, পরিচয়হীন হয়ে
গড়তে গিয়ে মাটির প্রতিমা, ভুলে যাই বারে বারে
ত্রিনেত্রের গভীরতা, চিত্ত যেন কাঁচের পাত্র
ভেঙে যায় সহসা, মাটির বুকে যায় লুটিয়ে
রঙের চঞ্চল কণিকা, মুহুর্তে ধুলিশাত
নিয়ে আসি নারিকেল খোল, ভরে যাই ধুসর রং
ডুবিয়ে তুলিকা এঁকে যাই জীবনের এলোমেলো ছবি
আপনমনে ডুবতে গিয়ে ভেসে উঠি তোমার স্পর্শে
নিঃশব্দ পায়ে পার্শ্বে দাড়ায়ে কাঁধে মুখ রেখে
ছুঁয়ে যাও তুমি, আমার বক্ষের বিশালতা
মেরুদন্ড শীর্ষে, অধর উষ্মা জাগিয়ে রাখে পৃথিবী,
আঁধেরেও এগিয়ে যাই, ত্রিনেত্রের সীমানায় তুমি -
হেসে যাও ইন্দ্রজালিক হাসি, প্রণয়ের পরিপূর্ণতা !
বাড়িয়ে দাও সহজে নিজের হাতে, ধনু, খড়গ, কবচ
মাথায় রাজতিলক ! অভিশেখের এই বেলায় আমি
প্রেমের শতদল প্রতিদান করে যাই, সজল হয় উঠে
তোমার অধরের পুরাতন মরুভূমি, বিস্তৃত ভাবে ভরে
যায় বন্ধ্যা বসুধা, অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজে উঠে অরণ্য
নিঃশ্বাসে ঝরে জীবনের অনন্য স্বেদ মাখানো গন্ধ !
- - শান্তনু সান্যাল