জীবনের লয়ে
জামিন, গড়ে চলেছ নিজের মনে
অনন্ত কালের সহাবস্থান,
জানি না কত দূরের
অনুযায়ী তুমি!
ফিরে
চেয়েছি যখন ও দেখি সাঁঝের বুকে আছো
একাকী দাঁড়ায়ে, ডুবন্ত সূর্যের দিকে
চেয়ে রয়েছো এক লয়ে,
জানি না কীসের
অভিলাষ,
মৌন ব্যথা বুকে লয়ে ফিরে ফিরে আসো,
ঠিক আঁধারের পিছনে, গঙ্গার
তীর হতে জনারন্যে,
উঠছো মন্থর
পায়ে
মধ্যযুগীন শিলালেখা ডিঙিয়ে সমাধি স্তম্ভে,
থেমে রয়েছো কিছু ক্ষণ দুয়ারের
মুখে, যেন হারিয়ে এসেছো
সিম সিম খুলে যার
মন্ত্র কিংবা
অন্ধকার বাদ দিয়ে ঢুকতে চাও স্বপ্নের ঘরে,
তোমায় দেখে মনে মায়া জড়ায়
অদ্ভুত ভাবে, অনিচ্ছায়
ভালোবেসে যাই
হে জীবন
তোমায়, তাছাড়া বিকল্প নাই, তাই খুলে
রাখি বিষন্নতার আবরণ, জীর্ণ
আলনা, ভাঙা আয়না
চেয়ে রয়ে নির্লজ্জ
ভাবে,
নির্বস্ত্র জীবনের বিচ্ছিন্ন হাত পা, হৃত্পিণ্ড
ভাবনার গোঙানি, নিঃশ্বাসের
বিগলন, নিরুপায়
কিন্তু আবার
জুড়তে
বসি সারা রাত, একের পরে এক স্বপ্নের
ক্ষত বিক্ষত টুকরো, চেয়ে থাকি
দিগন্তের উদ্ভাসিত
সরু রেখা.