যুগ পেরিয়ে
বিস্তীর্ণ বুড়ো অশ্বত্থ গাছের নীচে, দেখেছি তাকে,
একাকী ঝুলন্ত শিকড় ধরে, চেয়ে আছে অবাক,
গঙ্গার বুকে ভেসে যাওয়া, নৌকার দূর
বহুদূর সাগর কুলে বিলীনতা,
ক্রমে ক্রমে খালের জল,
তখন ফিরে গেছে
নদী গর্ভে,
সান্ধ্য আরতির সুরে, জ্বলে উঠতে চায় পরিত্যক্ত -
মাটির প্রদীপ, সন্ধি বেলায়, শঙ্খ ধ্বনির
আড়ালে আঁধার যেন দ্রবীভূত,
প্লাবিত করে নিতে চায়
যুগের অন্তর্দহন
নিমেষে,
তিমিরাচ্ছন্ন প্রাচীন দেউলের প্রাঙ্গনে, নীরবতা
ঘনিয়ে আনতে চায় তার নিগূঢ় প্রণয়ের
কুহেলিকা, ভগ্ন প্রাচীর প্রান্তে দীর্ঘ
নিঃশ্বাসে লিখে যায় অরণ্য
কুসুম, কিছু পুরাতন
ইতিহাস,
কিছু গোঙানির অর্থ, কিছু চাপা চিত্কার, বহু
সামন্তিক অত্যাচার, চাবুকের গর্জন,
পুরোহিতের ঘৃণা, অশ্বারোহী
দলের মাঠ, ঘাট, খামার
পেরিয়ে হৃদয়ের
ফসলে
কেটে নিয়ে যাওয়া, উধ্বস্ত জীবন চেয়ে রয়
শুধুই তার শুন্য চোখের
সজলতা - - -
- শান্তনু সান্যাল