বিষাক্ত বাণ
সাঁঝের পুর্ণবযসের আগেই রাত্রি ঘনিয়ে আনতে চায়
অন্ধকার, তার পিপাসার পরিধি বুকের গহ্বরে
টিকে থাকতে চায় না, গোটা দেহের
কোষে ছড়িয়ে যেতে ব্যাকুল,
ওই তিমিরে আছে গুপ্ত
নিগূঢ় ভালবাসা,
আরশির
ভিতরে বহু দর্পণের স্তর, কাচের অন্দর মহলে যেন
উলঙ্গ দেহের বিস্তর প্রতিফলন, তার ছায়ার
স্পর্শে আছে বিদ্রোহের আগুন, যেন এক
শীত যুদ্ধ ; দেহ ও হৃদয়ের মাঝে,
হার জিতের স্থিতিমাপ
খুবই পলকা,
সে চায়
পরিপূর্ণ ভাবে আত্মভূত, রক্ত মাংসের পরে জীবনের
আরক চুষে নেওয়া, অস্তিত্ব তখন একাকী,
নিরুপায়, সমর্পণ ছাড়া পথ খুঁজে
পায় না, কিন্তু আঁধারের
নিবিড়তা ধীরে
ধীরে যায়
হারিয়ে, অস্তিত্ব খুলে চলেছে মায়াবী আবরণ জোছনা
ভরা বন্য পথে, সে এখন বাধ্য বন্য প্রাণী,
ধেয়ে যাচ্ছে রাত্রির পিছনে, ক্লান্ত
রাত্রি দৌড়িয়ে লুকিয়ে
যেতে চায় প্রাচ্য
দিগন্তে, সে
ভালবাসার পরিভাষা হয় ত বুঝতে পারি নি কিংবা
বোঝাতে পারি নি, তাই আসক্তি ছড়িয়ে
এখন মুক্তির পথের অনুগামিনী,
দিশাহারা হরিণী, বাঁচতে
চায় সকাল পর্যন্ত,
বুকে নিয়ে
বিষ চুবান বাণ - - -