মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১০

মহাকাল রাত্রি

মহাকাল রাত্রি, তমস ঘন চত্বরে


অগ্নি পুরুষের আর্বিভাব -

ধ্বংস দেবালয়ে সহস্ত্র কন্ঠে নির্ভয়

সান্ধ্য পূজার কর আব্হান,

ত্রিশুল, খড়গ, হস্তে মুখে জয়ঘোষ

মহালয়ার নিশীথে অগ্নি ছুঁয়ে -

নিও আজ সপথ, দিও দেহদান,

তুমি কৃষ্ণ, তুমি সব্যসাচী, তোমার-

বীর্যে আছে জাতি অভিমান,

শাক্ত পন্থীর আবার মৃত্যু ভয় -

পুরুষ যদি আছ, আজ দিও প্রমান,

হে ভারত মায়ের গর্বিত সপুত

কুরুক্ষেত্রে আবার করো প্রস্থান,

দুর্যোধন, দুশ্শাসনের কুচক্রের হউক অন্ত

দ্রৌপদীর এলোচুলে আবার যেন

সাজে পদ্ম, শতদল ফুটুক পূর্ণ চন্দ্র

সম, হে ভরতবংশী করো আজ অগ্নিস্নান //

-- শান্তনু সান্যাল





 


ছদ্ম আবরণ

না হয় কিছু মিথ্যে, সাজিয়ে বলে যেতে


মধু মালতি লতার মাঝে কিছু নকল

পুষ্প ঝুলিয়ে যেতে, জানি যে প্রণয়ের

সুরভি চায় অনুতপ্ত, দগ্ধ, এক হৃদয় -না

হয় শুধু হাসির জালে ভুলিয়ে যেতে,

সজল নয়নে চেয়েছিলেম প্রতিশ্রুতি -

ফিরে আসবে বলে, পৃথিবী তো চাই নি

না হয় ছদ্ম আবরণ জড়িয়ে যেতে,

স্বপ্নময় ছিল যে অজানা জগতের রূপ

প্রেমের কল্পতরু কুসুমিত যেন শাখায়

শাখায়, না হয় নির্মম স্পর্শে সমস্ত

ভাবনার শিশির ঝরিয়ে যেতে,

রামধনু রঙ্গ চাই নি আমি কোনদিন,

না হয় ধুসর আকাশের কিছু ছায়া

জ্বলন্ত বুকে ভরিয়ে যেতে //

-- শান্তনু সান্যাল

রিক্ত নদীর ধারে

রিক্ত নদীর ধারে
বসে আছি একাকী সেই অনাম রিক্ত নদীর ধারে ,

শৈল চিত্রে কী কোন অজ্ঞাত ভাষায়, কবিতা

লিখে ছিলে, পড়তে গিয়ে দেখি বয়স কবে যে

অস্তাচলের পথে, সন্ধ্যা ত আর অপেক্ষা করে না

আঁধারে উড়ে যায় কিছু স্বরলিপি , সুর খুঁজে -

বেড়ায় মন,কার ভাসা ভাসা কন্ঠে এখন ও ,

শুনি মুখরিত রয়েছে ভালবাসার কিছু গান -

কে যেন ডাক দিয়ে যায়, অবশ্যই দ্বার গুলো

উন্মুক্ত রয়েছে, যুগ যুগান্তর ধরে সমান ভাবে -

জীর্ণ নিশিগন্ধার গায়ে ছোঁয়া ছোঁয়া মিষ্টি গন্ধ

হটাত উর্ধ মুখী, ধুপ যেন ছড়িয়ে ছে শেষ

জ্বলন্ত বুকে লয়ে মধুর আভাস, বেমৌসুম

বৃষ্টি ঝরে যায় নিস্তব্ধ রজনীর বৃক্ষে ,শেষ

প্রহরে সুকনো নদী সহসা যেন মহা প্লাবিত //

-- শান্তনু সান্যাল