বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১১

সে কী যে মায়া

 সে কী যে মায়া বুঝি নি আজ ও 
যেন অরণ্য নদীর বালু চরে 
খনন করে  যাই দিবস রজনী 
অঞ্জলি ভরা  তোমার ভালবাসা 
উঠে আসে জলের সেই ক্ষুদ্র 
রেনু স্রোতে, সেই দেখে  তুমি 
হেসে যাও শিশু সুলভ হাসি
আমি বারে বারে গর্তের গভীরতায় 
খসে যাওয়া বালু গুলো উপরে 
আনতে চাই, আর চেয়ে দেখি তোমার 
শ্যামবর্ণ মুখের দীপ্তি 
তুমি কখনো চেয়ে রয়েছে 
আমার বালু মাখা বুকের দিগে 
আবার মাঝে মাঝে নিমগ্ন চোখে 
এক দৃষ্ট হেরিয়ে চলেছ 
পাহাড়ের গায়ে সূর্যাস্ত 
সেই জামুনি সন্ধ্যার আগমনে 
তোমার অনেক কাছে বসে যাওয়া 
আমায় মন্ত্রমুগ্ধ করে যায় 
বালুর বক্ষে সজল প্রতিবিম্ব তোমার 
আমি আবিষ্কার করে যাই 
তুমি বল কী  সুন্দর লাগছে চাঁদ 
তোমার নির্মিত এই ছোট্ট ঝিলে, অদ্ভুত 
কই চাঁদ কৃষ্ণ পক্ষে 
নিজের প্রতিচ্ছবি চিন না আমি বলি 
তুমি শুধুই হেসে যাও 
জল প্রপাতের বিন্দু সম ছড়িয়ে 
বহু রঙ্গীয় জাদু 
এমন সময় জীবনের ক্লান্ত বেলা 
হয় উঠে মধুর হইতে মধুরতম //
--- শান্তনু সান্যাল