মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১১

অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য

উপাসনার বিস্তৃতি, আবিস্কৃত 
করে গেছে অন্তর জগতের সৌন্দর্য্য 
নামহীন সজল অনুভূতি,
সমাধিস্থ পাথর গুলো কালান্তরে 
হয় উঠেছে নাকি পাষাণী রত্ন,
জীবন ছিল এত দিন অবাঞ্ছিত বন্ধ্যা 
ভূমি, লুপ্তপ্রায় অধ্যায় -
তোমার প্রেমের বিজ্ঞান হয় ত
করে গেছে আবেগের উত্খনন, 
দিব্য ক্ষীন আলোর মাঝে বারংবার 
দেখি রহস্যের আলেয়া,
এটাই বোধ হয় পাক খোলার প্রারব্দ্ধ 
পুনর্জন্ম কিংবা জীবনের উত্পত্তি,
নিসর্গের পুনরাবলোকন,
জাগ্রত হয় উঠেছে সহসা অশ্মীভূত 
স্বপ্ন, সমুদ্র সৈকত, পুষ্প, মেঘের দল,
প্রাচীর জ্যোতির্ময় আকাশ 
ছিল না আগে এত সুন্দর, কিংবা 
হৃদয়ের নদী ছিল শুকানো 
তলানি, বহু কোণে ছেঁড়া, ফাটা, চিড় -
ধরা মৃত জলাভূমি, মরা -
নিশি গন্ধার চারা হটাত দেখি 
উঁকি দিয়ে চলেছে, ছুঁতে চায় জোছনা !
শিরায় শিরায় গন্ধের গ্রন্থী 
করে ছটপট, ফুটতে চায় আবেগের কুড়ি 
অধরের অগ্রভাগে কে যেন 
সাজিয়ে গেছে রঙ্গীন নিঃশ্বাস,
বুকের নিম্ন ভাগে রেখে গেছে রাত্রি 
যেন সিক্ত গোলাপের অনুভূতি,
জড়িয়ে রয়েছে সব সময় এক অপরিচিত 
পর গন্ধিয় পরিবেশ, দেহ ও প্রাণে 
খেলা করে প্রেমের শিহরণ, 
-- শান্তনু সান্যাল 
 

যদি ভালোবাসো


আজ রাতে অহং শল্ক গেছে বদলিয়ে

দেহের ডুব সাঁতার কাটায় লেগেছে
ইন্দ্রধনুর রং, থামো ত দেখি
কিছু ক্ষণ কেটে আসি বিষ দন্ত
লুপ্ত প্রাণঘাতী নখের ধার,
দেখে আসি শেষে আতঙ্কের মুখ
এই রাতে মন চাহে
হতে স্বয়ং সিদ্ধ পূর্ণ পুরুষ,
এই মুহুর্তে নামিয়ে এলাম ঈর্ষা, ঘৃণার
মলিন বস্ত্রখানি, কিছু ক্ষণ দিও
বন্ধু, হৃদয়ের দূষণের মুক্তি
এখনো আছে বাকি,এই মধু লগনে
চন্দনের পরশ হয় ত যাবে
ছুঁয়ে, তোমার পবিত্র নিঃশ্বাসে জেগে
আছে নাকি দেবদূতের বাণী,
কাঞ্চন দেহে লিপ্ত রয়েছে
বহু স্বপ্নের কিশলয়, কিছু সময় দিও
হে প্রিয় বন্ধু, দেহ চায় পরিত্রান, 
প্রায়শ্চিত, মনুষ্যতার অগ্নিস্নান,
পবিত্রতার পরীক্ষা,ব্যক্তিত্বের বিশালতা,
ওই দর্পণের দাবি মিটিয়ে
আসি আগে, অন্ততঃ হয় উঠি মানুষ
এই লঘু রাত্রি এখনো অশেষ
অপেক্ষা কর কিছু পল অতিরিক্ত



অভিন্ন মিত্র, যদি ভালোবাসো,
-- শান্তনু সান্যাল