ফুলের কঙ্কাল
ফুলের কঙ্কাল, বইর তাক গোছাবার
সময় হটাত দেখি অতীত
মুখোমুখি, চোরকাঁটা
বিঁধে চলেছে বাহ্য
আবরণ, শুষ্ক
শিরা সমূহ
হয়ে
উঠেছে আস্তে আস্তে মাংসল শরীর,
পার্শ্ববর্তী বর্তমানের ডাক আর
শুনতে চায় না বধির মন,
সে দেখে চলেছে এখন
দিবা স্বপ্ন, স্বজ্ঞার
পুনর্জন্ম কিংবা
জীবাশ্মের
জীবিত
হয়ে ওঠা, দশক চার ফিরে যাওয়া, দেহে
জড়িয়ে সেই নীল রেশমি শাল, পুষ্প
দাড়িয়ে আছে, নিঝুম শীতের
সাঁঝে, কাশী বিশ্বনাথের
কাছে, বিছিন্ন পাতার
বোর্ড ঝুলে রয়েছে
থিয়েটারের
গায়ে,
পাঁচমাথার দিকে ট্রাম এই মাত্র যেন গেল,
"কত ক্ষণ " আমার প্রশ্নের উত্তরে সে
মুচকি হেসে বলল - যুগ যুগান্তর
ধরে, রাস্তার আলো তখন
পূর্ণ বিকশিত, ঝলমল
মালঞ্চে বসে দেখি
তার ক্লান্ত
মুখে
ভেসে উঠছে অসময়ের মেঘের সঘন ছায়া,
কালান্তরে সে ঝরে গেছে মরুভূমির
বৃষ্টি সম, বলা মুশকিল কি ভাবে
সে রয়ে গেল বইর পৃষ্টে
চাপানো গোলাপ,
আঙ্গুলের
ডগায় প্রজাপতির পরিত্যক্ত রঙের ছাপ.
-- শান্তনু সান্যাল