বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ঝাউ বনের সেই অর্ধ উত্খনিত ঢিবি 
জ্যোত্স্না রাতে খুলে উন্মুক্ত বুক খানি 
চাতক কি কোন অপরিচিত নিশাচর পাখি 
হটাত তির্যক ঝাপটা মেরে, ধরে নিয়ে যায় 
সুক্ষ্ম কীট, পতঙ্গ, তৃণ ও শিখর 
ডানার শব্দে কেঁপে উঠে প্রাচ্য ইতিবৃত 
পোড়া মাটির ভাঙা অশ্ব,পুতুল, কলশি
মাটির ফুল, পাতা, শ্যাওলা মাখা স্বপ্নগুলো 
বাষ্পময় আলোয় খেলে দুই আকৃতি 
ফিসফিস কথায় জোনাকিরা হাসে, ফাঁস করে 
গোপন মর্ম, উড়ন্ত ছায়াকৃতি কিছু ক্ষণ 
স্থির থেমে রয় শ্বেত চাঁপার বৃন্তে 
ধুম্র বলয়ের রূপে দোল খেলে, হারায় 
আবার প্রগট সর্পাকার উর্দ্ধমুখী -
তারা লৌহ যুগের প্রান্তরে যায় উড়ে 
পরিতৃপ্ত করে দেহ ও প্রাণ, সারি সারি আধজ্বলা
কাঠের অঙ্গারে খুঁজে প্রেমের আলেয়া 
পর্ণ বস্ত্র চ্যুত করে মৃগচর্ম করে ধারণ 
মনের অরণ্যে হিংস ভাবের উত্পত্তি উতুঙ্গে
মৃগয়ার বেশে উলঙ্গ ভাবনার পুনর্জন্ম 
সে করে যায় চিত্কার, সভ্যতার সঙ্গে চাঁপানো
আদিমতার উদয়, তারা নিরন্তর হেসে যায় 
তামসিক রাত্রি ঢেলে রয় রহস্য রোমাঞ্চ 
ক্রন্দন ও হাসির মাঝখানে আকৃতি ফিরে পায় 
লাজুক সকাল, তুলে থাকে অমূল্য ইতিহাস 
ডিবির বক্ষে নখের দাগ কিংবা পাখির পদচিহ্ন
এঁকে যায় জীবনের বাস্তবিকতা, শিশির ভেজা তুলিকায় !
--- শান্তনু সান্যাল