মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১১

যাত্রী

বিফলের সঙ্গেই ছিল সফলতার ছায়া 
হস্তলিখনের পার্শ্বে নিয়তির মায়া 
কপালের ওই কল্পনা লোকে গেছি সাজিয়ে 
ধুম্রকেতু, বহু ভবিষ্যবাণী,
জানার সত্তেও যে জীবন শুধুই 
ক্ষণ ভঙ্গুর, ছাড়ি নি কখনো ও 
স্বপ্ন দেখা, আজন্ম তুমি ভালবাসবে 
এমন  অনুবন্ধ কোনো দিনেই ছিল না 
হৃদয়ে তোমার কি যা আছে তুমি 
শুধুই জানো, আশীষ কিংবা অভিশাপ 
এই পান্থশালায় ভেদাভেদ কিছুই নাই 
কোন দিশায় প্রতিধ্বনিত নাম কির্তন 
কোথায় ভেসে যায় আজানের নৌকা 
ঘাটের চাতালে ঝরে যায় বকুল আপন মনে 
ওই উজানের প্রবাহে জীবনের গান
লিখে যায় শরতের পূর্ণ চাঁদ 
এই পথ কিছু দূরে গিয়ে, দুই ভাগে 
মুড়ে যায় বিপরীত গন্তব্যে 
দুঃখ সুখের মুহানায় জানি আছে 
এক গোপন মহা রহস্য, জল প্লাবিত ভূমিখণ্ড
অথৈ সাগরের সেই স্বপ্নীল লীলা 
ভাসিয়ে নিয়ে যায় অন্য ভুবনে 
পদচিহ্ন বিহীন সেই মহা তটরেখা 
চির মৌন হয় দেখে যায় 
অংশুমালির অস্ত উদয়ের খেলা 
ঋতু চক্র খুলে দ্বার নিজস্ব হাতে 
কখনো শতদল রক্তিম সকাল 
আবার কখনো গহন অরণ্যের মহাকাল 
রাত্রি, আমি তুমি সবাই ওই পথের 
নিরন্তর গতিমান যাত্রী //
--- শান্তনু সান্যাল