জোছনার গায়ে
অনুকম্পাবিহীন জগতে বহুবার
ধর্ম যোদ্ধারাই লুন্ঠন করে গেছে মনের
মন্দির, দিয়ে গেছে ঘাত প্রতিঘাত
নির্দোষের মাথায় দোষারোপ
তালিময় বস্ত্র বন্ধু নয় কোনো জন্ম দাগ,
প্রায়ই বসে থাকে আহত ভাবনা
আদালতের ওই ভাঙা সিঁড়ির উপরে,
প্রমানের কাগজ নিয়ে হাতে
মৌসুম ফিরে চায় না সিক্ত চোখের স্বপ্ন,
উচ্ছ আসীন সেই অভিশংসক
অনেক সময় অবিরল দিয়েছে মুক্তির
বক্তৃতা, শুনিয়েছে ক্রান্তির কবিতা
আঁধারে সে আবার দেখি বিক্রয়ের পথে,
দাড়িয়ে আছে অন্ধ গলির সীমান্তে
সেই পন্যবিনিময়ের আদিম ভুবনে !
তথাকথিত ত্রাণকর্তা সেই রাতে
দিল মশাল আমার প্রতিবেশীর হাতে,
বারংবার শিকারে অগ্রসর সেই
মুখোশ ধেয়েছে পঙ্গু তৃণ ভোজির পিছনে,
জঙ্গলের এই আইন মোছা যায় নি
কোনদিন, ঘা দিয়ে মলমের মাখামাখি,
সুযোগের শোধে সেই আঁখি দিয়েছে
বিশ্বাসঘাতকতা বহুবার বন্ধু,
তাপ্পি খুলে যাওয়ার ভয়ে ভীরু মন নিজেই
উলঙ্গ হয়েছে অনেক সময়,
জীবনের বাস্তবিকতা বড়ই কঠিন,দুরূহ
তবুও কালরাত্রি বলে স্বপ্ন মরে না কোনদিন ,
সেই অলৌকিক বিহানের সন্ধানে
মন চায় ঘুমোতে কিছু ক্ষণ জোছনার গায়ে,
-- শান্তনু সান্যাল