হয় ত আকাশের ছিল কিছু নিজস্ব বাধ্য
বাধকতা, তারক গুলো ভেঙে
ছড়িয়ে রইল, বসুধার
ছিল আপন অগ্নি -
রেখা, ইচ্ছা
থাকা
সত্ত্বেও বুকে জড়াতে পারি নি সে
অপসৃত আলোর স্রোত, প্রতি
নিঃশ্বাসে ছিল অদৃশ্য
প্রেম, প্রতি ধাপে
বেঁচে থাকার
অদম্য
প্রত্যাশা, জানি না কেন নিষ্ফল
রইল আত্মীয়তার কলা,
প্রত্যেক কথায় সে
বলে ভগবানের
ইচ্ছে, কিন্তু
সেই
অদৃশ্য শক্তি বলেছে কি তোমার
সঙ্গে দেখা করি যেন
মসজিদের ছায়ায়
দেউলের ওই
সোপানে,
প্রখর রোদে, হিমানী রাতে, আলো
আঁধারে, দেখা হল তোমার
সাথে বহুবার, তুমি চিনে
ও চিনতে চাও নি,
জিজ্ঞেস করেছ
রক্তের বর্ণ,
শুদ্ধ কি
অশুদ্ধ,
তোমার উজবুক প্রশ্নে আমি শুধুই
হেসে যাই চিরদিন, উত্তর না
দিয়ে হেঁটে যাই পূর্ব মুখী
রহস্যময়ী সেই প্রান্তরে,
সমাধিভূমি হইতে
ব্রহ্মলীন জগত,
এখানে কিছুই
প্রমাণ ও
দলিলের কোনো দরকার নাই,বসে
থাকতে ইচ্ছে করে, এই বিজন
অচল সীমান্তে, একাকী
পরিপূর্ণ শান্তি,
জীবন
যেন খুঁজে এখানে তারকের বিলুপ্তির
কারণ ! হারানো আত্মাদের
আশ্রয়স্থল, ভালবাসার
চিরস্থায়ী গর্ভগৃহ,
নিরাকার
অনন্ত
অখণ্ড জ্যোতির মহা উদ্ভাসিত উর্মিমালা.
-- শান্তনু সান্যাল