বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

অন্তহীন সোপানে - -

তার কামনার ওই অন্তহীন সোপানে, 
জানি না কোন ধাপে আছে 
পরিতৃপ্তির চূড়ান্ত 
বিন্দু, তার 
গভীর 
চাহনির মাঝে আমি খুঁজে বেড়াই - -
জীবনের উচ্ছ্বাস, সব কিছুর 
আয়ু, নিয়তির হাতে 
রয়েছে বাঁধা,
তবুও 
মন বারংবার উড়ে যেতে চায় রঙীন 
প্রজাপতির সাথে সুদুর অজানা 
রামধনুর দেশে, জানা 
সত্তেও যে পাতা 
ঝরার 
মৌসুম আছে সমীপবর্তী, তবুও এই -
জীবন ধরে রাখতে চায় 
অদৃশ্য সুরভির 
অনুভূতি, 

* * 
- শান্তনু সান্যাল  
http://sanyalsplanet.blogspot.com/
humming_bird_window

শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভাঙা চশমার ওপারে - -

 বহু খণ্ডিত চশমার কাচের ওপারে

বিন্দু বিন্দু স্বপ্নরা যায় মরে 

তবুও জীবনের বৃক্ষ

যায় না শুকায়ে,

বহু অভিযোগ

অপমান,

অবহেলার দংশ নিয়ে বুকে মানুষকে

বাঁচতে হয়, অনেক কিছুই মনের

বিরুদ্ধে করে যেতে হয়, 

আসলে বিকল্প, 

উপায় বলতে

নিজের

হাতে

কিছুই থাকে না, বহুবার একই কাপড়ে

রিফুর পুনরাবৃত্তি,খুবই সহজে

পালিয়ে যাওয়া যায়,

পলায়নের পরে

আবার ফিরে

আসার

পথ

খুঁজে থাকি আমরা, সবাই'ত আর গেরুয়া রঙ্গে ডুব দিতে পারে না,

দুঃখ সুখের ছাই রঙ মেখে

কবিরদাস আবার তাঁতির 

রূপে বসে থাকে

নব সৃজনের

মোহে।

- - শান্তনু সান্যাল

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩

হারানো দিন - -

 

কত বার ফিরে আসি খালি হাতে,

কড়া নাড়ার ভাষা আজও

বুঝতে পারি নি, ভূল

ঠিকানায় পড়ে

থাকে  মনের

ধূসর খাম,

দরজার

মুখে

থেমে রয় এক চিলকে নরম রোদ,

ক্রমশঃ দিন গড়িয়ে যায় সন্ধ্যার

কাছে, জীবনের বৃন্ত হতে

ঝরে যায় দিনের এক

জীর্ণ পাতা, আবার

অন্ধকারে খুঁজে

বেড়াই সেই

ঝরে

যাওয়া পাতার অজ্ঞাত সমাধি ভূমি,

কিছু এলোমেলো শব্দের ফুল

ছড়িয়ে রয় তার গায়ে, সে

এখন চিরনিদ্রায় ভেসে

যায় জীবাশ্ম দেশে,

হয় তো ফিরে

পাবে এক

দিন তার

হারানো

দিনের রূপ রঙ - -

- শান্তনু সান্যাল


শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

খুশির উৎস - -


দরজাটা খোলা রাখি বহু দিন ধরে,

জানা সত্ত্বেও যে কেউ আসবে

না, সময়ের সাথে হয়'ত

টানটা শিথিল হয়ে

ওঠে, ধীরে ধীরে

সব কিছু বিন্দু

বিন্দু ফুরিয়ে

যায়, তবুও

মানুষ

আশা ছাড়ে না, জীবনের প্রতি ধাপে

প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে, আসলে

সবাই আলোর স্রোতে

ভাসতে চায়, কিছু

ক্ষণ বাঁচতে

চায়, এই

এক

বিন্দুতে আমরা খুঁজে পাই হারানো

খুশির উৎস ।

- শান্তনু সান্যাল

শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩

অপলক চোখের অভিলাষ - -

আঁধারের গর্ভেই লুকিয়ে রয় জীবনের সূচনা,
যতই কালো হোক না মায়াবী রাত্রি,
আলো ঠিক পেরিয়ে আসে
কুয়াশা ভরা অরণ্যপথ। 
তোমার
আমার ওই
এক
ঘেয়ে জীবনের বাইরেও আছে আরেকটি - -
জগৎ, কিছু সুরভিত ভাবনার বীথি,
কিছু অন্তর্তমের গভীরতা, সব
মিলিয়ে নিখাদ সুন্দরতা।
যদিও বুকের তৃষা
চিরদিনই
অপূর্ণ,
ওই অপূর্ণতাই হলো বেঁচে থাকার মূল কারণ,
আর সেই কারণেই তোমার আমার মাঝে
এক অদৃশ্য সেতুবন্ধন, কিছু অপলক
চোখের মৌন চাহিদা, কিছু বন্ধ
নয়নের নিবিড় প্রাপ্তি।
কম্পিত অধরের  
ওই মৃদু হাসির
মাঝে
জীবন যেন ফিরে পায় পূনর্যৌবনের অন্তহীন
অনুভূতি।

* *
- শান্তনু সান্যাল







শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

অভিশপ্ত আত্মা - -


তোমরা করে যাও অসুরের জয়গান, যারা গর্ভস্থ শিশুর করে হত্যা, 

বয়োবৃদ্ধ মহিলাদের করে

অপহরণ, তোমাদের

ওই ঘৃণিত দৃষ্টির

মাঝে তারাই

নায়কের

সমান,

তোমাদের মিথ্যে স্বর্গের পথে অদৃশ্য

নরকের আছে জ্বলন্ত অবস্থান,

মানুষের মুখোশে তোমরা

লুকিয়ে রাখো নর

পিচাশের হিংস্র

মরুদ্যান,

নিরীহ

মানবের রক্তে রাঙ্গা পতাকা হাতে নিয়ে

অশ্বারোহী তুমি বয়ে চলেছো অনন্ত

কালের অভিশাপ, তুমি কোনো

দিনই পাবে না ইশ দর্শন,

তোমার বীভৎস

আত্মা কোনো

দিনই পাবে

না ত্রাণ ।

- শান্তনু সান্যাল

 

বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩

ভিটে মাটির শূন্য সন্ধান - -

 নদী কী মানুষ সবাই হারায় জীবনের

গতি পথ, সময়ের স্রোতে হারিয়ে
যায় জীবনানন্দের জন্ম ভিটা,
ধানসিঁড়ির কিনারায় খুঁজে
পায় না কেউ পুরাতন
মন্দিরের স্মৃতি
স্থান, শ্বাস
রোধে
মারা যায় তথাকথিত মানবতার দেউল,
বৃহদাকার বয়োবৃদ্ধ বট বৃক্ষের
নিচে হারিয়ে যায় ঐতিহ্যের
শঙ্খ ধ্বনি, গড়ে ওঠে
উচ্চ মিনার চার
দিকে, কেউ
কী মনে
রাখে
অতীতের হাহাকার, হটাৎ মায়ের ভাষা
হয়ে ওঠে বোবা, ভাঙা বিগ্রহ নিয়ে
বুকে মানুষ করে দেশান্তর, পুকুর
ঘাটের পাথরে শুধুই লেখা
থাকে এমন মানুষের
নাম যাকে এই
প্রজন্ম চিনে
না, ওই ভিটে
মাটি তখন
শুধুই
শত্রুর বিষয় সম্পত্তি, সহজে প্রাপ্য যক্ষের ধন ।
- শান্তনু সান্যাল

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্রোতের বিপরীত - -

স্রোতের বিপরীত বহে যাওয়ার
দুঃসাহস অথবা, জেনেশুনে
বিপদের আমন্ত্রণ, যা
কিছুই বলতে
পারো,
জীবনে অনেক মুহূর্তগুলো থাকে
নিয়তির শেষ বিন্দুর গায়ে,
নিঃসহায় মানুষের
হাতে কিছুই
থাকে
না, তবুও ওই পাপড়ির শীর্ষে - -
টলমল এক ফোঁটা জল,
চোখের আগে ভরে
যায় রিক্ত মরু -
উদ্যান !
এমন কি, শেষ নিঃশ্বাসেও টেনে
রাখতে চায় মনের মানুষ,
অবশ্যই সেই আঁকড়ে
কত যে অনুরক্তি
আর কত
যে অভিনয় বলা মুশকিল - - -

* *
- শান্তনু সান্যাল


 
http://sanyalsplanet.blogspot.in/
Lorraine Christie Art 1

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জীবন্ত ছায়াপথ - -

 অদৃশ্য চক্রব্যুহে আটকানো এই পৃথিবী,
আলো – ছায়ার জাদুময় ছকে !
জানি না কোন নির্জন
ঘরে, তুমি আছো
নিভৃত মঠের
বাসী,
প্রণয় বা উপাসনা, এ কেমন অভিলাষ
যে করে যায় সমস্ত কিছু স্বাহা !
কাচিক স্বপ্ন নিয়ে হাতে,
জীবন হাঁটে কোন
পাথর ভরা
শহরে !
এ কেমন অনুভূতি ভিড়ের মাঝে মনে -
হয় খুব একাকী, ওই মুগলকালীন
মসজিদ লাগোয়া, ঠিক কিছু
পা এগিয়ে, পুরাতন -
মারাঠা যুগের
দেউলের
সিঁড়ি পেরিয়ে দেখেছি জীবনের অন্ধকূপ,
মানুষ যেখানে ধর্ম দর্শন থেকে মুক্ত,
ইতিহাসের গৌরব যেখানে
মূল্যহীন, সান্ধ্য -
আরতির
সাথে, ওই মোড়ে তখন জীবন্ত ছায়াপথ !
ফুলে গন্ধে একাকার ওই পথে দেখি
অভিজাত ও কুখ্যাতের ভব্য
সঙ্গম স্থল, ভেসে আসছে
বেগম অখতরের
রুহানি -
গজল " মেরে হমনফস মেরে হমনওয়া -
মেরে দোস্ত বন কর দগা ন দে - - "*

- শান্তনু সান্যাল
(* অনুবাদ : আমার প্রাণের প্রিয় সাথী
বন্ধু সেজে আর ছল কর না - - )  

http://sanyalsplanet.blogspot.in/
Watercolor-Paintings-Art-Willem-Haenraets

সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পাগল নদীর তীরে - -


আমি চিরকালের দিশান্তরী, আজও তাই
খুঁজে বেড়াই টেকসই আস্তানা, পূর্ব -
পুরুষের মুখে শুনেছি বহু গল্প,
কোন এক পাগল নদীর
তীরে ছিল নাকি
আমাদের
তথাকথিত ভিটেমাটি, নদীর ভাঙনের -
ব্যথা ছিল সহনীয়, সময়ের সাথে
হয়ে উঠেছিল জীবনের অঙ্গ,
ওই ভাঙা গড়ার মাঝে
সব কিছুই ছিল
যেন প্রকৃত,
সবাই ছিল পারস্পরিক জড়িত, পরস্পর
এক সুরে বাঁধা, ভালো মন্দের সাথী,
কিন্তু কোন এক দুর্ভাগা সকালে,
হটাৎ তারা দেখে সব কিছু
যেন এলোমেলো, সেই
দুঃস্বপ্নের ভোর
হতে এক
অসমাপ্ত স্থানান্তরণ, সে দিন নদী ছিল - -
খুবই অনুতপ্ত, আজও বহু কালের
পরে সে শুধায়, ''আমি কিন্তু
খুব একটা বদলায়
নি, আমি
যুগ - যুগান্তর ধরে বহে যাই আমার লয়ে,
আমি মানুষ নির্মিত ওই শৃঙ্খলের
বাইরে, আমি দেখেছি ওই
ধর্মের বিভৎস রূপ,
যার আগুন
আজও পুড়িয়ে চলেছে সুদুর নীল নদ হতে
গঙ্গা - পদ্মার সবুজ প্রান্তর, আজও
আমি চাই মহাপ্লাবনের মহা -
ধারা, কিন্তু আমি
ভাবপ্রবণ,
এই সুন্দর সৃষ্টির অন্ত দেখতে চাই না, তাই
নীরব চেয়ে রই শারদীয় আকাশ !
* *
- শান্তনু  সান্যাল




সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিঃশ্বাসের গহীন গহ্বরে - -

অঝর বৃষ্টি ছিল সারা রাত, যাকে -
বলে মন খুলে ঝরে যাওয়া, 
শ্রাবণের ওই উদারতা
দেখে হঠাৎ যেন,
ভেসে উঠে
ছিল
বুকের মাঝে আতঙ্কের উড়ন্ত মেঘ,
কাজেই অনায়াসে, রাতের শেষ
প্রহরে, আমি বুকে ধরে
রাখতে চেয়েছি
তোমায়।
যখন দিগন্ত রেখায় প্রথম আলোর
ছোঁয়া - ছোঁয়া সূচনা, তখন
তুমি আমার নয়ন
কোণে ফিরে
আসা
ধোঁয়া - ধোঁয়া এক মধুর চেতনা।
কখন থেমেছে যে বৃষ্টির মুক্ত
ধারা, কখন উন্মাদিনী
নদী, জোর করে
সরিয়ে
গেছে উঠন্ত সাগরের বিক্ষিপ্ত ঢেউ,
আর করেছে আত্মসাৎ তার
অগণ্য নীল গভীরতা,
নিঃশ্বাসের গহীন
গহ্বরে, কেউ
জানে না।  


* *
- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.in/
 

বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মাটির নিয়তি - -

তোমরাই গড়ো আবার তোমরাই
ফেলে আসো নদীর গাদ ভরা
তীরে, বুঝি না এ কেমন
বিনিময়ের খেলা,
তবুও ছুটে
আসি
বারেবারে ওই শিউলির গন্ধে ভরা
পথে, তোমাদের হাতেই করি
ষোল শৃঙ্গার, হয়ে ওঠি
রণ – বীরাঙ্গনা আর
করি রিপু দলের
সংহার, জানি
খুবই
কঠিন, হাড় মাংসের ওই অসুরের
দমন, যেন সহস্ত্র বীজের চার
দিকে অঙ্কুরণ, তোমরা
শুধুই করেছো
পুতুল
খেলা তাই আমি যথারীতি রয়ে - -
গেছি শুধুই  মাটির প্রতিমা,
আর খেলা শেষে, গেছি
ভেসে নদীর মলিন
স্রোতে, চির
উপেক্ষিত
অবলার রূপে, তোমরা গড়লে আমায়
অবশ্যই, কিন্তু প্রাণের প্রতিষ্ঠা
রইলো যথারীতি ভেজাল,
দূষিত, তাই আমার
নিয়তি শুধুই
মৃন্ময়ী,
অন্তহীন নীরবতার প্রতীক, শুধুই এক
মৌন প্রতিমা - -

* *
- শান্তনু সান্যাল

  

বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩

তুমি কী সেই উপাসিকা - -

শিউলির গন্ধে ভরা সকাল, যথারীতি
আজও সাঙ্ঘাতিক রূপের অনুঘটক,
বুকের গভীরে করে যায় এক
অদ্ভুত উন্মন্থন, মধুর
ঘোরে জীবন যেন
ফিরে পেতে
চায়
হারানো প্রেমের উষ্ণতা। হটাৎ তুমি
তখন শিশির ভেজা শালুকের
একরাশ গুচ্ছ, উন্মুক্ত ফুটে
আছো সুদূর মালবিকা
বনে, কোনো এক
অদূষিত
ঝিলে।
জীবন অকস্মাৎ তখন খুঁজে পেতে - -
চায় তোমার ওই চিরহরিৎ
উচ্ছলতার রহস্য।

* *
- শান্তনু সান্যাল

শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

বিলুপ্ত ছায়া - -

চেয়ে ছিলাম নাহক বেঁধে রাখতে তার
উচ্ছৃঙ্খল আবেগ, সে এক অরণ্য
নদী, বহে গেছে নিজের
ইচ্ছেমত, হয় ' ত
আমার বুকের
বাঁধন
ছিল কাঁচা মাটির সেতুবন্ধ, তাই সইতে
পারি নি ভাবনার জলরাশি । সে
এক প্রেম ছিল কি পিঞ্জরাবদ্ধ
রঙ্গীন পাখির ছটফটানি,
বহু বার ভেবেছি
আর ফিরে
পেয়েছি
কিছু বিবর্ণ পালকের সন্ধান । জীবনের -
অঙ্কন এতো সহজ নয়, সকালে
ছিল মিষ্টি রঙে মাখা সিক্ত
পৃষ্ঠতল, যখন ডুবলো
সন্তপ্ত সূর্য ওই পার,
গঙ্গার ধারে
ভেসে
উঠেছে ধোঁয়ার বাদল একরাশ, সান্ধ্য
আরতির মাঝে জীবন তখন খুবই
একা, খুঁজে চলেছে নিজের
হারানো ছায়া ।

* *
- শান্তনু সান্যাল

শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩

ফিরে যাওয়া - -

খুব ইচ্ছে করে ফিরে যেতে, সব কিছু -
গুটিয়ে তোমার কাছে, বিশ্বাস
করো মনের খুব গভীরে
তুমি আজও আছো
শিকড় জালের
মত অদৃশ্য কিন্তু বাস্তবিক রূপে, আর
চুষে নিতে চাও সমস্ত দুঃখ – বেদনা
সহজ ভাবে, ঠিক ভাসন্ত পদ্ম
পাতার প্রতিরূপে। এটাও
কিন্তু তিক্ত সত্য 
যে পড়ন্ত
জীবন কে পুনরায় গোছানো সহজ নয়,
বরং খুবই কঠিন, হতাৎ করে
হারানো মাটির বুকে
পুনরপি, মনের
চারা পুঁতে
যাওয়া, আর ক্রমশঃ দিনান্তে সুর্য্যমুখির
মত নুঁয়ে যাওয়া। তবুও জানি না
কেন, তুমি আজও ডাক -
দিয়ে যাও, অজানা
কোনো এক
সাগরমুখী নদীর তীর হতে, আর আজও
আমি যথারীতি হয়ে উঠি, অস্থির
তীর বাঁধা নৌকা, খুলে দিতে
চাই সমস্ত শৃঙ্খল, অদৃশ্য
তোমার প্রেমের
জলোচ্ছ্বাসে।
* *
— শান্তনু সান্যাল

রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩

নিজের পরিভাষায়

নিজের পরিভাষায় মানুষের মন
বিজয় করা সব সময় সম্ভব নয়,
স্বপ্ন দেখা আর স্বপ্ন দেখানো
দুইটি বিভেদ রয়েছে, চাণক্য সর্বদা
উচ্চ শিখরে থাকবে কোন জরুরি নয়,
যা সামনে রয়েছে সেটাই বাস্তবিক
বিতর্কিত দর্শন নিয়তি বদলায় না,
মিছিলের পরিনিতি নীরবতা, যাদের হাতে
কুচক্র ছিল, তারা আজ কুরুক্ষেত্রে
ধরাশায়ী, শঙ্খনাদ ও আর্তনাদ
সামান্য অন্তর, মেঘের গর্জনে
বৃষ্টির আগমন কোনো জরুরি নয়,
অশ্বত্থামার অন্ত রাজনীতির পরাকাষ্ঠা,
যারা আজ পদতলে খুঁজে ঠিকানা
কাল সিংহাসনে উঠতে পারবে না,
এমন কোন অনুবন্ধ নাই, যুগ তোমার
আমার মতান্তরের বাইরে,
আর্তনাদ উঠলে নভ, জল, স্থল
সব চুরমার হবে এক দিন
যারা মহাসম্মেলনের পুরোধা
সর্ব প্রথম হবে মৃত্যুমুখী -
সম্প্রতি যুগের মৌন ভীষ্ম পিতামহ ও
অন্ধ রাজনীতির অন্ত, অবশ্য নিকটতম।
— শান্তনু সান্যাল

শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩

বাঁশির সুরে

নভোনীল রাতে, দূর ভেসে আসা বাঁশির 
সুরে, জীবন নদী তটভূমি খুঁজে,
তার নয়নের বাঁকে রয়েছে 
স্বপ্নের পান্থশালা, চাঁদ 
ফাঁকি দিয়ে কিছু 
ক্ষণ হারিয়ে 
রয় 
কুঞ্জবনে, মেঘের আড়ালে সে এখন কৃষ্ণ !
আমি দিশাহারা চেয়ে রই আঁধারে,
কানন পথে জোছনার হারিয়ে 
যাওয়া, তার প্রতিশ্রুতির 
রজনীগন্ধা সবসময় 
রহস্যে  কুণ্ডলিত,
লুকিয়ে রাখে 
মনের 
ভিতরে সুগন্ধের ধারা, আমি প্রহত মৃগ -
ধেয়ে যাই, বিক্ষিপ্ত রূপে, নদী 
পাহাড়, নির্ঝর, উপত্যকা,
প্রহেলিকার পরিমণ্ডল,
কুহেলির পথ,
সতত 
দূরস্থ অনুসন্ধান, ক্রমে ক্রমে তার বিলুপ্তির 
সঙ্গে হারিয়ে যায়, অজানা বেণুর 
সঙ্গীত, সুদুর ভেসে যাওয়া 
নৌকা এখন উজানের 
পথে, দিগন্তে 
ভোরের
লালিমা সরিয়ে চলেছে চোখের তন্দ্রা - - -

- - শান্তনু সান্যাল

বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩

পারদর্শী দেহের জগৎ - -

অকস্মাৎ উধাও যখন বুড়ো বট গাছের 
দীর্ঘ ছায়া, ঘাটের নীরবতা যায় 
বেড়ে, সূর্যের গায়ের 
রং ভেসে রয় 
নদীর 
বুকে, এমন সময়ে জীবন দাঁড়িয়ে রয় - 
একাকী, সন্ধ্যা নামার সাথে,
অপেক্ষার আঁধার ঘনিয়ে 
ওঠে ভীষণ ভাবে, 
ফিরতি 
অন্তিম নৌকার আভাসে, নিঃশেষিত - -
নিঃশ্বাস, খুঁজে নিবন্ত আলোর 
পুনর দহন, তোমার 
বুকের বিলুপ্ত 
মরুদ্যান, 
অশ্মীভূত আবেগের পুনর্জীবন, মধুর - -
দেহান্তরে মাঝে জীবন চায় -
পুনরায় সমর্পণ ! এক 
রাতের অনুদান,
ভাসিয়ে 
দিতে চায় মন সমস্ত অগভীর নোঙ্গর - -
স্থান, খুলে ফেলে দিতে চায় 
সব বাহ্য আবরণ !
পারদর্শী 
দেহের সঙ্গে জীবন চায় তার শাশ্বত - -
অনুপ্রবেশ - - 
* * 
- শান্তনু সান্যাল 
unknown source art 12

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩

উড়ন্ত স্বপ্নের পিছনে - -

জীবন অনেক সময় যেন পুরাকালীন

ঘড়ি, বড় আর ছোট কাঁটার
মাঝে বহু যুগ ধরে থেমে
আছে যথাবত !
যাদুঘরের
কোনো এক উচ্চ দেয়ালে, দর্শকের -
মিছিলে, মাঝেসাঝে সে খুঁজে
বেড়ায় অতীতের কিছু
ছিটকিয়ে পড়া
মুহূর্ত !
কিছু হাসিমুখ শিশুদের চেহারা, কিছু
বিস্মিত তারুণ্যের বাউণ্ডুলে
ভাব, অথবা, অকারণে
উড়ন্ত স্বপ্নের
পিছনে
ধেয়ে যাওয়া, জীবন অনেক সময় - -
যেন পুরাতন বইর নিরুদ্দেশ
লাল গোলাপ, হটাৎ খসে,
মুক্ত হতে চায়, ওই
বয়েসী গন্ধ
হতে - -
সুদূর অজানা প্রান্তরে উড়ে চলেছে এক 
ঝাঁক রঙ্গীন প্রজাপতি !
* *
— শান্তনু সান্যাল 
 

http://sanyalsplanet.blogspot.in/

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

মরু ঝিলের তীরে - -

এ কেমন বৃক্ষের মায়া, চার দিকে 

বিস্তারিত সবুজ শাখা প্রশাখা,
তবু ও হৃদয় খুঁজে পায় 
না একফালি 
ছায়া, 
এ কেমন আপন জনের চলাফেরা,
কথাবার্তার মাঝে ভেসে ওঠে 
পরকীয় গন্ধের আভাস,
ভিড়ের মধ্যে তাই 
জীবন খুঁজে 
বেড়ায় 
জানি না কাকে, সবাই কিছু ক্ষণের 
জন্য অবশ্যই ফিরে দেখে,
তার পর মুখোশ ফেলে
রাখে নিজের 
মুখে, এ 
কেমন চতুষ্কোণীয় দেয়ালে ঘেরা -
প্রান্তর, হাজার চেষ্টায় বেঁধে 
রাখতে পারে না মন, 
ঠিক উড়ে যায়
পরিযায়ী
পাখিদের সাথে একদিন, স্মৃতির -
কিছু পালক উড়ে রয় মরু 
ঝিলের তীরে 
যথারীতি।

* * 
— শান্তনু সান্যাল  

http://sanyalsplanet.blogspot.com/


সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩

সুখের পরিভাষা - -

খুবই জটিল সুখের পরিভাষা,
তাই নিজের মনের মত 
জীবন গড়ে নেওয়াটা  
মন্দ নয়, ওই
সুদূরের আকাশগঙ্গা, চিরদিনই
ছিল আমার কাছে চিত্তগ্রাহী
নানান স্বপ্নের মাঝে
তাই গুটিয়ে
রেখেছি
তোমার ভালবাসা। 
অপূর্ণতাই
জীবন, পূর্ণ অস্তিত্ব খুঁজে
পাওয়াটা ছিল না
সহজ, তাই
তোমার কাছে বারংবার ফিরে
আসা। সত্যি বলি, ওই
অভিলাষের ফর্দ
চিরকালই
অন্তহীন, শুধুই অধরা পথের -
দিকে এগিয়ে যাওয়া, ওই
অট্টালিকা ও শ্মশানের
মাঝপথে খুঁজে
পেয়েছি
মনের মানুষ বহুবার তোমায়,
কখনো তুমি সিদ্ধার্থ রূপে
হেঁটে চলেছ নিজের
মনে, ঘিঞ্জি
বস্তির
শেষ প্রান্তের দিকে, আবার - -
কখনো তুমি একাকী
চেয়ে আছো
ধুসর
আকাশে হারিয়ে যাওয়া হাড়
মাংসের  ধূম্র বলয়ের
ঘন কুয়াশা। 
খুবই 
জটিল সুখের পরিভাষা।
* *
— শান্তনু সান্যাল

http://sanyalsduniya2.blogspot.in/


মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

Evolution of Bangla Language 🌿 🌿

It has been long argued that language affects the way we think and the way we perceive the world around us. If this is true, Bangla will have had an immense impact on those who speak it. Today we will journey through time to take an in-depth look into the language spoken by over 250 million people worldwide, and how it has shaped and is re-shaping the land of Bengal and its inhabitants.

Bangla can be traced back to 3500 B.C. from the Indo-European language family. This branched out into the Indo-Aryan languages, which eventually evolved into the many dialects spoken in the sub-continent. Although many assume that Bangla was born from Sanskrit, there are scholars and linguists who believe that this language was derived from Indo-Aryan languages like Magadhi Prakrit and Pali.
For all latest news, follow The Daily Star's Google News channel.

Modern Bangla comprises of words taken from languages like Turkish, Portuguese, Persian as well as English. This effect can be explained through the eras of different rulers of Bengal. 

Through all these transfigurations, the evolution of Bangla can be divided into three stages: Old Bangla, Middle Bangla, and Modern Bangla.

OLD BANGLA

This era dates back to around 650 A.D. when Sanskrit was widely used in literary works by priests and scholars in Bengal. However, notable linguist Dr. Suniti Kumar Chatterji coined the language of the common people as variations of Magadhi Prakrit, while educationist Dr. Muhammad Shahidullah, argued that it should be called "Purbo Magadhi Prakrit".

However, this is considered to be somewhat of a dark area in our history of Bangla literature since hardly any traces of literature can be found from this time. The oldest text ever found being Charyapada, a collection of mystical poems of revelation based on Buddhism, which is thought to have originated between the 8th and 12th centuries.

MIDDLE BANGLA

During the 14th century, the Sultanate of Bengal was established through the Muslim invasions. The Sultanate established Bangla as the official court language of the region and it soon became the vernacular language of Bengal. Brahmins began producing religious texts like Sreekrishna Kirtana and Manasamangal which were collections of poetic verses on Hindu deities. However, this version was still very different from the modern Bangla that was yet to develop.

In the 16th century, the Mughals took over Bengal and the rich Persian language they brought with them began to influence our native tongue. Muslim Bangla writers began incorporating Persian philosophies in their literary works. These influences are prominent in ghazal and Sufi compositions. There were instances of these influences even in Hindu literature, like the Vaishnava Padavali. The Baul songs we are familiar with were also composed during that time.

MODERN BANGLA

Around the time of the Battle of Plassey in 1757, the modern rendition of Bangla took shape from the dialect spoken in the Nadia region of Bengal. However, the language was split into formal and casual versions. These eventually came to be known as "shuddho bhasha" and "cholito bhasha".

As Western influences began shaping local cultural norms, more people began to look for a more sophisticated and refined lifestyle.  A demand for literature and fine arts grew with it. Starting with Durgeshnandini by Bankim Chandra Chattopadhyay's Durgeshnandini  in 1865 kick- started a literary revolution where a slew of Bangla literary texts emerged, with stories and poems of romance, drama, and thought-provoking fiction. Notable writers of this era include Ishwar Chandra Vidyasagar, Michael Madhusudan Dutta, and Jibanananda Das among others.

This era also brought us Begum Rokeya, a cherished Bangla writer and feminist, who established the first school for Muslim girls in Kolkata, and the Bengali polymath Rabindranath Tagore, a pioneer in Bangla literature and the author of our national anthem. Through his vast collection of poems, short stories, plays, and novels, he would re-define the literary landscape of Bengal for years to come. Kazi Nazrul Islam, our national poet, also made a huge impact in our literature during this time, through the rebellious and religious themes of his work.

POST-PARTITION BANGLA

After the partition of 1947, much of our literary prowess and cultural norms would be threatened by political forces. The strategic obstruction of Bangla began in 1948, when the government of the dominion of Pakistan ordained Urdu as the only national language of the state.

This ruling caused major civil unrest as several scholars and activists expressed their concerns, stating that this would make the majority Bangla-speaking people of East Pakistan ineligible for work in government positions. This resulted in several students and activists rallying the streets of Dhaka in protest. Following the unrest, Muhammad Ali Jinnah arrived in Dhaka and on March 21, 1948, he gave his infamous declaration that only Urdu will be the state language of Pakistan and all those who defy this ruling are enemies of the state.

On the morning of February 21, 1952, students began to gather in the University of Dhaka premises in defiance of Section 144 imposed by the then government of Pakistan. As the students rallied through the campus, police began arresting students and open fired at the rallies, killing many on spot. As news of the atrocities broke, more than 30,000 people gathered at Curzon Hall the very next day in solidarity for the fallen martyrs of the protest.

By the dawn of February 24th, the students of Dhaka Medical College constructed the Shaheed Smiritistombho (Monument of Martyrs) and since its inception, February 21st has been considered a day of mourning. On February 29th, 1956, the Pakistani parliament finally declared Bangla as one of the official languages of the state.

The events of the language movement not only led to the eventual formation of Bangladesh in 1971, but made a huge impact in the development of Bangladeshi culture and literature. Since the declaration by UNESCO in 1999, the 21st of February has been marked as International Mother Language Day, paying tribute to the Language Movement of 1952.

PRESENT DAY BANGLA

Since the Liberation War, our language and cultural norms have evolved drastically due to the widespread globalisation that brought new cultural influences.

Tareq Reja, Professor at the Department of Bangla in Jahangirnagar University, gave us his views on how our language has changed and whether or not this transformation could be considered detrimental for the language. He stated, "Language and culture are very closely related. Technological advancements and changes in human values are playing a huge role in the evolution of Bangla. While this change is inevitable, it should always be natural and not forced. More and more foreign words are finding their way into the Bangla vocabulary and making it easier to communicate. But at the same time, various forms of media are distorting our language by the use of irrelevant words and phrases. This trend is harmful for our future generation and for the preservation of our rich heritage."

However, not everyone shares this sentiment. Tasfikal Sami, an aspiring writer and student of University of Dhaka said, "Bangla is very diverse with its numerous colloquial accents and subcultures. Back in the day, everybody in films or TV shows would speak strictly in the standard accent and that was the norm. But now, we are going through a very interesting phase where everybody has a voice that they can use through different media to influence others. I personally believe that is a good thing for the language in general. All these different elements are adding layers to the beauty and versatility of the Bangla language."

FUTURE OF BANGLA

However, the concern that Bangla is losing its authenticity is not entirely invalid. Many feel that the youth today are not as proficient in Bangla as their predecessors.

Syed Azizul Huq, Professor at the Department of Bangla in University of Dhaka, feels that it is important that children learn their mother language properly. He added, "If children don't know about their own language or culture properly, then how will they love their country? If they can't learn to love their country, it will affect the growth of the nation as a whole. That is why it's essential that we teach our children about their roots so they can become complete human beings."

Hasanul Chowdhury, writer at a local newspaper publication, feels that the burden of teaching children proper Bangla falls on the adults. "It seems to me that the quality of education in schools and universities has significantly deteriorated over the last few decades. We need teachers and parents alike to guide the students so they can understand the importance of learning. If that motivation is established, the future generation can grow to love and appreciate their mother tongue," he mentioned.

Bangla has shaped, and is shaping, the reality we are living in. In turn, we have kept alive the love we share for this language through the many songs and stories written by those who lived through the dark nights of the pre-independence era. This strength and the history we share is what will help Bangla evolve while we evolve with it.

The odyssey of a language
Mohua Mouli
Thu Feb 21, 2019 12:00 AM Last update on: Sun Feb 21, 2021 11:37 AM
Illustration: Salman Sakib Shahryar

বাঞ্ছিত অনুদান - -

এখানে সকাল আনে অভিনব আহ্বান,

আকাশপ্রান্তে লিখে যায় জীবনের 
গীতি কাব্য, কিছু রঙ্গীন 
অনুভূতি কিছু 
ধুসর 
আখ্যান, কখনো যদি সম্ভব এসো - 
নিজস্ব আবৃত হতে বাহিরে,
অনেক সংগুপ্ত আবেগ
চায় মসৃণ স্পর্শ,
বহু না 
বলা কথাগুলো চায় পরিত্রাণ, আঁখি 
কোণের নিবৃত্ত আলোর বিন্দু 
ঝরে যেতে চায় অবিরল 
ভাবে, যদি সম্ভব 
কোনো দিন 
বোঝার 
চেষ্টা করো সজল চোখের প্লাবিত 
শব্দের অভিজ্ঞান, হয় ত 
ওই ঝরিত বিন্দুর 
মাঝে খুঁজে 
পাবে 
জীবনের মুক্তি স্থান, বহু দিনের - 
বাঞ্ছিত প্রণয়ী অনুদান !

- শান্তনু সান্যাল 
http://sanyalsplanet.blogspot.com/


শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩

সে দেখি নি সকাল - -

অস্থিরতার সঙ্গে তার তীব্র পদক্ষেপে অনেক 

কাছে আসা, বিব্রত করি নি আমায়, 
শুধু মনে পড়ে ছিল সে দিন ওই 
ঘুড়ির সুতার গায়ে জড়ানো
কাচের গুঁড়া, ও 
কপোতের  
রক্তঝরিত ডানা, অসহায় দুটি চোখ,
আশ্রয় খুঁজে চলেছে যেন পালঙ্কের
নিচে, এক রাতের জন্য যদি
নিঃশ্বাসটি ধরে রাখে 
ছোট্ট জীবন ক'
এক মুহূর্ত, 
আমি ও বাধা দিতে চাই নি তার এই ভাবে 
উটকো অনুপ্রবেশ কে, কোথায় যেন 
মায়া ছুঁয়ে ছিল গভীর মনে, 
তাই তাকে ধরে বাহির 
করি নি, আলোটা
নিভিয়ে দিয়ে 
ছিলাম সহজ মনে, অবশ্যই  ইচ্ছে ছিল তার 
ক্ষত স্থানে আলতো স্পর্শ করে বুকে 
জড়িয়ে বলি সব ঠিক হয় যাবে, 
জীবনের এখানেই ত'
ইতি নয়,
আবার  নীলাকাশে তুমি উড়ে যাবে বহু দূর 
স্বপ্নাঞ্চলে, হয় ত পেয়ে যাবে হারানো 
ঝাঁক, ঘুমের ঘোরে ভুলে গেছি 
জানালা টানতে, সকালের 
কচি আলোয় খুঁজে 
ছিলাম তাকে, 
সারাটা  ঘরে, পালঙ্কের  নিছে, আলনার  পিছে,
ঠাকুর  ঘরে, সব জায়গায়, উদাস মনে 
যখন এসে দাঁড়িয়ে আছি অলিন্দ 
ধরে, হটাত দেখি মেঝের 
উপরে ছড়িয়ে
ছিটকে 
আছে ক' এক ফোঁটা রক্ত, কিছু ছেঁড়া পালক।

— শান্তনু সান্যাল



বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩

ফেরত চিঠি - -

রহস্যময়ী নয়নের সেই দূরস্থ অঞ্চলে 
লুকিয়ে 
রয় তৃপ্তির উৎস, অস্থির জীবন খুঁজে
মরে পরিতুষ্টির জলধারা, তার 
প্রেমের সীমানায় আছে 
অদৃশ্য কাঁটার 
কাঠগড়া,
সুরভিত ভাবনার ছদ্ম পুষ্পে সাজানো, বহু - 
মরিচিকার জল বিন্দু, জীবন প্রায়ই 
ফিরে আসে রিক্ত হাতে, নিয়ে 
বুকে গভীর আঘাত, 
স্বপ্ন কি বাস্তব !
তফাৎ
করা সহজ নয়, রাত্রি শেষে সে এক উড়ন্ত 
আলোপতঙ্গ, হারিয়ে যায় সঘন 
কুহেলীর পথে, আঙ্গুলের 
ডগায় ভেসে উঠে 
কিছু রেশমী 
দাগ !
নীল আঁধারে জীবন খুঁজে তার বিলুপ্তির -
কারণ, নীরব চোখ শুধুই চেয়ে
রয়, আকাশ কুসুমের 
একটানা ভাবে 
ঝরে 
যাওয়া, জোছনা কি আগুনের আঁচ বুঝে 
উঠতে গিয়ে দেখি সকাল, নির্বাক
ভাবে দাঁড়িয়ে আছে সদর 
দরজার মুখে, হাতে 
নিয়ে একরাশ 
নামহীন 
বুনো ফুলের অগোচর গন্ধে জড়িত, এক 
ফেরত চিঠি - - 
* * 
- শান্তনু সান্যাল 
http://sanyalsplanet.blogspot.com/

blossom of emotion 

রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩

নিঃশ্বাসের সুতো - -

সুদূর আকাশের নীহারিকা ছিল তার 

তথাকথিত ভালবাসা, ভাঙা
অলিন্দের প্রান্তে জীবন 
ছিল খুবই নিরীহ 
ভীষণ একা, 
শেষ 
রাত্রির ঠিক কিছু ক্ষণ আগে, ভেঙে 
পড়েছে ক্রমশঃ তারক মালা,
আবেগী মন, পুঙ্খানুপুঙ্খ
খুঁজে মরেছে তার 
হারানো 
বিন্দু,
দিগন্ত পারে, সাগরের বুকে, পৃথিবীর 
অস্পৃষ্ট ভূ ভাগে, শূন্য নীল 
উপত্যকার গহ্বরে !
ফিরে যাওয়া 
মধুমাসের 
পথে !
জনবিরল মরুভূমির দহনে, শ্রাবণী - 
রাতের হাহাকারে, ভাবনার 
লাজুক তন্তুর মাঝে 
সে ছিল সুপ্ত 
চির 
মৌন, নিঃশ্বাসের সুতো ধরে নিজের 
মখমলি হাতে - - 
* * 
— শান্তনু সান্যাল 
http://sanyalsplanet.blogspot.com/