রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

পলাশময় নাহি জীবন - -

মনের গভীরতায়, নীলোত্পল জেগে উঠে
সহস্ত্র পরাগ নিয়ে কুসুমিত আকুল নিশ্বাসে,
 
নাভির বাহিরে সৃষ্টি করে এক অন্য জগত,
ব্যাকুল হরিণ ধেয়ে যায়, অবিরাম প্রবাসে,

অশেষ তৃষা বুকে লয়ে, এখনো জেগে আছো,
নিজেকে উজাড় করে কেউ অমন ভালবাসে,
 
চাঁদের রুপালি বন্যা, ভিজে যায় দেহ  প্রাণ,
নিমিষে কিন্তু আঁধার নামে অসময়ের গ্রাসে,

অফুরন্ত ঢেউ নিয়ে ছিলেম তটিনীর সম্মুখে,
বিলীনতা পরে ছিল মহাশুন্যতা আসেপাসে,

স্বপ্ন কিংবা কুয়াশা, ছুঁয়েছি বোধ হয় আমি,
এই মধুর ক্ষণে আজ থাক, ভাবব অবকাশে,
 
নয়নের স্পর্শে লিখো, কিছু নব কাব্য রচনা,
কে যেন এঁকে গেছে মায়াবী ছবি নীলাকাশে,
 
মাটির চন্দন মেখেছি, গভীরতম  অন্তঃস্থলে,
পৃথিবী জুড়ে মাটি, তবু তারা কেন যে হাসে,
 
পলাশময় নাহি জীবন, দেখা হবে মধুমাসে ।
- - শান্তনু সান্যাল  


শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

অন্তিম প্রহরের জোছনা - -

তার দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ছিল অদ্ভুত আবেগর প্রসার !
দেহের নৌকো গেছে নিমেষে নঙ্গরাবদ্ধ,
হিল্লোলিত মাংস পেশী, উচ্চ তরঙ্গে
হৃদয় তখন ভেসে চলেছে ছুঁতে,
তার তরলিত স্পৃহার
 হিমবাহ, জীবন
তার আঁখির
তীরে
এখন মাত্র, স্থির ঘাটের সোপান, উঠে চলেছে
অন্তরের দেউল অভিমুখ, সেই নিরাকার
 প্রেমের প্রলয়ে, ফিরে পেয়েছি পুনঃ
আরোহণপথ, করেছি ধারণ
পূর্ণ সামরিক পোশাক,
কিন্তু তার অধর
সীমান্তে
পৌঁছতেই যেন যুদ্ধ বিরাম, থেমে রয়েছে
মরুপ্রান্তরে যেন শত শত বছরের,
মহাতৃষ্ণা, সামুদ্রিক গভীরতা !
চেয়ে আছে সান্দ্র লবণতা,
চায় প্রগাঢ় মধুরতা,
বিপুল বৃষ্টি,
বুকের
উন্মুক্ত ভূখণ্ডে এখন তপ্ত আবেগের বিগলন !
আমি হয় উঠেছি রূপকার, ছাঁচকার,
ঘামন্ত দেহে খেলে চলেছি তার
চরম উষ্ণতার শিল্প খেলা,
লিখে চলেছি কবিতা
তার অপ্রতিম
দ্রবীভূত
রূপে !
সে জড়িয়ে চলেছে ক্রমশঃ আমার অস্তিত্বের
কাঠামো, বক্ষঃস্থলের ফ্রেমে সে গেছে
মিশে, শুধুই এখন মিশ্রিত ঘামের
গন্ধ, নিঃশ্বাসের যমজ  ধুম্র -
বলয় কি সুরভিত বৃত্ত !
দুজনের অতিরিক্ত
কেউ জানে
না,
সঘন কুয়াশা ঢেকে চলেছে শেষ প্রহরের - -
জোছনা ।

- -  শান্তনু সান্যাল

   



আন্তরিক স্রাব

রাতের শেষ প্রহর, জোয়ার নেমে ক্রমশঃ -
ভাটার অভিমুখ, ফেনিল আবরণ 
এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে
বালুকাবেলায়, খালি 
পায়ের  চিহ্ন
ফেলে
গেছে আহত রাত একাকী অগোচর দিগন্তে  !
জলোচ্ছ্বাস বুকে টেনে চেয়ে আছি 
পৃথিবীর মুখখানি, সে এখন 
সংকুচিত গন্ধ কোষ, 
গুটিয়ে চলেছে 
পাপড়ির 
আবর্ত, 
প্রেম ও দেহের  দুই প্রান্তের, আলোক স্তম্ভের 
মধ্যে টানা দড়ি, হাতে রোদ ছায়ার 
প্রতিমান লাঠি, শুন্যে হেঁটে 
চলেছে জীবন সযত্নে 
ধাপে ধাপে, শ্বাস 
বেঁধে ক্রমে 
ক্রমে,
ডঙ্কার আওয়াজের ছাড়া জীবন কিছুই জানে 
না, যখন হাত তালি গেছে থেমে, জীবন 
নেমেছে সহজে, বেঁচে থাকার বাধ্য -
বাধকতা ছাড়িয়ে যায় সব 
ভয় বিপদ, এখন শান্ত 
মন খুঁজে ক একটা 
মুদ্রা ও তোমার 
ভালবাসা,
আঁধার, 
নির্জন বাস, আন্তরিক সুরভির অনন্ত স্রাব !
-- শান্তনু সান্যাল  

উড়ন্ত সাধ - -

সারা রাত ঝরেছে হাসনুহানার গন্ধ, কে ছিল 
জানি না, মনের বীথি ভরিয়ে গেছে,
গত রাতে, কল্পলোক অতিক্রম 
করে, অপূর্ণ জীবনের 
সাধ জাগিয়ে গেল 
সে দিগন্ত পথে, 
তার ফিরে 
যাওয়া !
স্বপ্নের ঘিরে আসা, কি যা ছিল অন্যোব্য -
সমীকরণ, বুঝতে চায় না চেতনা, 
মধুর পরিমলাচ্ছন্ন দেহে ফুটে 
চলেছে এখন বহু গন্ধ 
কোষীয় ধারা, 
ভাবনারা 
এই মুহুর্তে মেলেছে আলোকভেদ্য ডানা !

-- শান্তনু সান্যাল

নাভির গভীরতা - -

গহন আঁধারে ও খুঁজে জীবন তার সন্নিধি, চাঁদ 

ডুবে গেছে অনেক আগে, সে জ্বালিয়ে 
গেছে অদৃশ্য প্রদীপ খানি, হৃদি
মন্দিরে, পরিণত রাত্রি !
অধিশায়িত ধরে 
আছে যেন 
কটিবন্ধের স্থির জাঙ্গাল, বাঁধের মাটি ভয়াতুর,
তার অভিসারের পদধ্বনি কাঁপিয়ে যায় 
জীবনের নিরাপদ অঞ্চল, কড়া 
নাড়ার শব্দে প্লাবনের মৌন
সঙ্কেত, সে এখন উন্মুক্ত 
মায়াবিনী নায়িকা 
খুলে দিয়েছে
সজল 
কেশের জলধারা,অনবহিত, আবরণহীন দেহে 
ঢেলে চলেছে কস্তুরী রাশি রাশি, নিঃস্তব্ধ
যামিনী, সে গড়েছে নিজের আলোর 
জগত, আমার নাভির উর্ধ্বে 
এখন পরাগের উত্পত্তি,
পুষ্পরেনুর সঞ্চার !
তার আবেগী 
পিপাসা 
উদ্দাম, উদ্বায়ী, চাহে সম্পূর্ণ তেজস্বী স্রোত !
- -  শান্তনু সান্যাল 

    

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

স্বপ্নের পুনরাবর্তী - -

কিছু স্বপ্ন মৃত জন্মায়, ভোরের
আগেই রাস্তার ধারে ফেলে
অবকাশ মুক্ত হয়
মমতাময়ী
রাত্রি,
কিছু স্বপ্ন অতল গর্ভে অনিচ্ছায়
পড়ে থাকে নতুন সকালের
আশায়, ভবিষ্যত
নিজের শোধ
আদায়
করে সোনাগাছির অদৃশ্য জগতে,
হারিয়ে যায় কত মুখ প্রতিমা
সৃজনের মাটি তে, কে বা
খবর রাখে, কখনো
লালবাজারের
পথ দিয়ে
কত
কচি স্বপ্ন কেন্দ্রীয় কারাগারে
পূর্ণ যৌবন প্রাপ্ত করে,
কিছু স্বপ্ন দুরন্তগামী
রেল চেপে
মুম্বাইর
জন
অরণ্যে বিলুপ্ত হয়, কিছু স্বপ্ন
পড়ন্ত বেলার মিছিলে
যোগ দিয়ে হটাত
অচেনা গলি তে
নিখোঁজ হয়ে
হারিয়ে
যায়,
অনেক স্বপ্ন আবার নিশাচর,
 মধ্য নিশিতে অনন্য
স্বপ্নের গায়ে হানা
দিয়ে চুরমার
করে
আগামী স্বপ্নের পুনরাবর্তি - -
- -শান্তনু সান্যাল

বিনা মূল্যে প্রবেশ - -

মরা নদীর দুই পারে জেগে থাকে
বিশাল আলোকিত অট্টালিকা,
সারা রাত আমি খুঁজি
বিলুপ্ত নদীর স্রোত,
স্মৃতির ঝুলি
গেছে
ছিঁড়ে অনেক আগে, এখন শুধুই
রিফু তালি দিয়ে আত্মীয়তা
বজায় রাখা, ঝাপসা
আলোয় দেখি কে
যেন হাতে এক
খাতা নিয়ে
দাঁড়িয়ে
আছে,
কী
যা চায় বুঝি না, কিসের হিসেব
নিকেশ, কিসের দেনা পাওনা,
নিঃস্ব হওয়ার পরেও কিছু
কী বাকি আছে, আমি
বিস্ফারিত চোখে
নিঃশব্দ হয়ে
দেখছি
তার
মুখের আদল, অদ্ভুত মিল আছে
আমার সাথে, কুয়াশার ওপারে
হয় ত অজ্ঞাত এক মরুদ্যান
আছে, যেখানে বিনা মূল্য
প্রবেশ করা যায় ।
- - শান্তনু সান্যাল

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

কোথায় যেন দেখিছি - -

দেখেছি তোমায় কাদা পায়ে
মাঠ পেরিয়ে সেই গঙ্গার ধারে
প্রাচীন কালী মন্দিরের বট -
বৃক্ষের ভাঙা সিড়ির উপরে
গাঙচিলের সেই অসয্য চিত্কারে,
তুমি কী এখনো বসে আছ পা
ঝুলিয়ে, ঘোলাটে অলস লহরে,
 শুধিয়ে ছিলাম এক দিন যে
ডিঙ্গার হিল্লোলিত আবেশে ও থাকে
নব সৃজনের অজস্র লুকানো গান,
ভেজা পায়ের ছাপে ছিল কিছু
বিসর্গ বিন্দু প্রেমের বর্ণ পরিচয়,
হাঁটু জলে নেমে তুমি চেয়ে ছিলে
ডুব দিতে, প্রণয়ের কচি সাগরে ,
তোমার বায়না শুনি নি সে দিন
সিউলির অবিকসিত কুড়ি, শরতের
ছোঁয়া ছিল বহু দূর ভিন্ন দেশে,
তুমি শুনো নি মনুহার কোনো রূপে
পা এগিয়ে ছিলে সেই অজানা বাঁশ
বনে কোন স্বপ্ন বুকে জড়িয়ে, শুনেছি
দিবা নিশি বসে থাক মন্দির প্রাঙ্গনে,
শুনি চোখে নিয়ে উড়ন্ত অতীত
সূর্য ঢলে গেছে নিস্তব্ধ কবে যে,
সুপারি, নারিকেল বাগান বাদ দিয়ে
চতুর্দশী চাঁদ উঠেছে বাঁশ  
ঝোপের অনেক উপরে।
দেখেছি তোমায় কাদা পায়ে
মাঠ পেরিয়ে সেই গঙ্গার ধারে
প্রাচীন কালী মন্দিরের বট -
বৃক্ষের ভাঙা সিড়ির উপরে
গাঙচিলের সেই অসয্য চিত্কারে,
তুমি কী এখনো বসে আছ পা
ঝুলিয়ে, ঘোলাটে অলস লহরে,
 শুধিয়ে ছিলাম এক দিন যে
ডিঙ্গার হিল্লোলিত আবেশে ও থাকে
নব সৃজনের অজস্র লুকানো গান
ভেজা পায়ের ছাপে ছিল কিছু
বিসর্গ বিন্দু প্রেমের বর্ণ পরিচয়,
হাঁটু জলে নেমে তুমি চেয়ে ছিলে
ডুব দিতে, প্রণয়ের কচি সাগরে
তোমার বায়না শুনি নি সে দিন
সিউলির অবিকসিত কুড়ি, শরতের
ছোঁয়া ছিল বহু দূর ভিন্ন দেশে,
তুমি শুনো নি মনুহার কোনো রূপে
পা এগিয়ে ছিলে সেই অজানা বাঁশ বনে
কোন স্বপ্ন বুকে জড়িয়ে, শুনেছি
দিবা নিশি বসে থাক মন্দির প্রাঙ্গনে,
শুনি চোখে নিয়ে উড়ন্ত অতীত,
সূর্য ঢলে গেছে নিস্তব্দ্ধ কবে যে,
সুপারি, নারিকেল বাগান বাদ দিয়ে
চতুর্দশী চাঁদ উঠেছে বাঁশ
ঝোপের অনেক উপরে।
কোথায় যেন দেখিছি তোমায়
পিতাম্বরী লাল পাড়ের তাঁতের সাড়িতে
এক হাতে কুচি অন্য হাতে চটি ঝুলিয়ে
তুমি ভয়ে থর থর
সাঁকো পার করে গেছ ওই খালের
বাঁ দিগে, সেই ঝুলন্ত আঁচল
নিশ্ছল হাসির মাঝে
ছড়িয়ে গেছ একান্ত মাছরাঙ্গা
বাতাস, কচি ধানের শিষে
যেন ঢেউ খেলে যায় শারদীয়
অন্তের সমীরণ, ওই সবুজ বাতায়নে
স্বপ্ন কিছু সেউলির গন্ধে মাখা,
সূর্যের তীব্রতায় আবার
দেখি তুমি সুদূরে শিমুল ফুলে
বাসন্তিকা হয়ে রয়েছে অজয় নদীর পারে
বাউলের বৃন্দ গানে কখনো দেখি
আছ বৈষ্ণবীর সাজে
পরে রয়েছে গলায় আমার তুলসী
কাঠে জড়ানো কবিতা
তোমার প্রেমের আবীর মেখে যায়
অতুকান্ত ছন্দের পঙ্ক্তি, লাজুক হাতে
আবার চেয়ে দেখি হটাৎ সাগর সঙ্গমে
হয় উঠেছে স্বছন্দ উর্মি মালা
উন্মুক্ত কুন্তল খুলে যেন দিয়ে যাও
হাতছানি, সেই ভুবন ভাসানো হাসি
প্রতি পল দিয়ে যায় রহস্য গভীর,
অবাক আমি পৃথিবী !
- - শান্তনু সান্যাল


মুক্তির ছন্দ - -

দক্ষের যজ্ঞ মাড়িয়ে, হোমানলের পথে -
এগিয়ে, আহুতির জ্বলন্ত বেশে,
যদি কোন দিন পারো,
ভস্মিভূত দেহে, এস
লুটানো করিদন্তীয়
আঁচলের
সেই
রক্তিম পাড়ে, হৃদয়ের মরুভূমিতে আজ
ও খেলে, রিক্ত কুম্ভের তৃষা, সনির্বন্ধ,
বিক্ষিপ্ত বন্য পুষ্পের রন্ধ্রের সেই
অপরিভাষিত সুরভি, ভাসে
অবিরাম, অনন্ত, জীবন
সাগরে, দ্রৌপদির
এলোকেশে
লুকানো
সূর্য্য
চন্দ্রের সেই মায়াবী পৃথিবী, সৃষ্টি কমল
নিয়ে হাতে, যদি পারো স্বংসিদ্ধার
রূপে, হে প্রেয়সী এস, আমার
উধ্বস্ত জীবনে, ভুমিকম্পিত
সুরে বাজিও রুদ্র বীণার
সুর, ত্রিলোক নয়নে
যেন উঠে মুক্তির
ছন্দ, সুপ্ত
বসুধার
বৃক্ষে
জাগে প্রলয়ের গান, সান্ধ্য প্রদীপের সহস্ত্র
শিখায় জাগৃত কর শাপমুক্তির অখণ্ডিত
রশ্মিধারা,চির পৌরুষের আহ্বান,
মহা তিমিরের পূর্ণ সমাপন,
ভগ্ন, কালজয়ী দেউলের
পরিপূর্ণ পুনরুত্থান  !
- -  শান্তনু সান্যাল 

বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

জোনাকিরা কী গান জানে - -

 

নতুন কিছু গান লিখে রেখো বলে গেছে
যেতে যেতে শ্বেতপর্ণী মেঘের পসরা,
দামাল স্বপ্নের ভর দুপুরে পাড়া
বেড়ানো ভালো লাগে
অনেক সময়ে
পেঁচানো
সহজ কথা, ডাক দিয়ে যায় কে যেন ছাদের
সীমানায়, ছেঁড়া ঘুঁড়ি পেঁচিয়ে রয়েছে
পায়রার পায়ে, সরিয়ে দিতে
চায় মন আকাশের
গায়ে মেঘের
আনাগোনা,
ঠাকুরের
ওই
ছোট্ট কাঁসার থালে নকুলদানায় ফু দিতে ইচ্ছে
করে ! দুপুরের এই ছটপটানি, দেয়ালের
গায়ে চল গিয়ে লিখি আবোল
তাবোল কাহিনী, কুমুদিনী
কি বিন্দুর ছেলে
আস্তে করে
খুলে
দরজা, চল দৌড়িয়ে যাই নদীর পারে পাখিরা
ও কি দুপুরে ঘুমোয়, দেখেছি ঘুঘুর হাঁপানি
শালিকের হা করে চাওয়া, কোকিলর
ডাকে অলস প্রহরের বিরক্তি,
কড়ি দিয়ে খেলি মনের
দেয়া নেয়া ছক
কেটে রয়
তোমার
চোখের দুষ্টু চাহনি, তোমার জীতে যাওয়া
নিয়ে আসে সাঁঝের মুখে কিছু ভেজা
হাসি, ওই ধুলার হাওয়ায় উড়ে
যায় ক্লান্ত জীবনের ঝরা
পাতা, ছিঁটে ফোটা
বর্ষায় মন ধেয়ে
যায় কুড়োতে,
আম্রকুঞ্জে,
পুরাতন কাঁচা গল্প ! ভেজা দেহে উঠোনে
দাড়ায়ে ছুঁতে চায় মন আদরের
বকুনি, ভালবাসার বৃষ্টি
দরজার আড়ালে
কাপড় বদলিয়ে
মন হয় উঠে
কিশোর,
সজল
রাতের অন্ধকারে, ঝড় যায় থেমে জোনাকিরা
কী গান গায়, খুব জানতে ইচ্ছে করে
এক দিন আবার তাদের সঙ্গে
করব সেধে আলাপ
লিখতে হবে
যে কিছু
নতুন গান, জীবনের অভিজ্ঞান !
--- শান্তনু সান্যাল        

মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

শুকনো পাতার বুকে - -

প্রথম প্রণয় হারায় অরণ্য নদীর বাঁকে,
তারপরে, অবাঞ্ছিত দেহের খেলা থাকে,

উড়ন্ত পাতার বুকে ছিল, সূক্ষ্ম কবিতা,
দিনের শেষে, কে কার কথা মনে রাখে,

নির্বাক ক্ষণে, উন্মুক্ত চোখের শব্দকোষ,
মুখচাপা বুকের শব্দ  কাকে যেন ডাকে,

দেহের উলকিরা ছিল কাঁচা রঙে আঁকা,
মনের ভিতরে প্রেমের ঘা লুকিয়ে থাকে,

চেনা বন্ধুর হাতে ছিল পাথরের টুকরো,
আমি চিরদিন ভালোবেসে ছিলাম যাকে,
* *
- - শান্তনু সান্যাল