হয়ে গেছে পরিত্যক্ত বিকল্প, রোদের লোভে
অনেক দিন আগে, পড়ন্ত দুপুরে ছাদের
উপরে উঠতে গিয়ে নজর পড়ল
শেওলা ঢাকা প্রাচীর সীমানা,
চেয়ে আছে ডুবন্ত সূর্যের
পানে, শিরীষ গাছের
মাঝে তারুণ্য
লুকিয়ে বলে
শীতের দিনে আঁধার অবেলায় ঘনিয়ে আনে
ঘুমের কুয়াশা, চোখের যবনিকা যেন
নিজে নিজেই পড়ে যেতে চায়,
স্বপ্ন তখন এক অসংবৃত
নায়িকা, সেই কোপ
ভবনের রাজ -
মহিষী,
যেন
সংকল্প করে বসে আছে যে আমার বাষ্পিত
নিঃশ্বাসে রয়েছে পৃথিবীর সব সুখ,
আমি কিন্তু নামতে চাই না
ছাদের ওই জনবিরল
আঁধারে শুধুই বসে
থাকতে চাই
এক
কোণে, চাঁদ ক্রমে ক্রমে প্রতিস্থাপন করে গেছে
সূর্যের সেই মরা মরা তাপ ! কেমন যেন
শীতের গায়ে রুপালি চমক, জাদুর
উষ্মা ছড়িয়ে চলেছে, কাঠের
পুরানো সিঁড়ির উপরে
পা ঝুলিয়ে বসে
হারিয়ে যেতে
চায় মন,
অন্তরিক্ষের মহাশুন্যে, অবিরাম ভেসে যাবার
ইচ্ছা এখন আস্তে আস্তে আলোড়ন পথে,
ডানা গুলো সবে মাত্র বেরিয়ে
আসছে, দেহে বায়ুর স্পর্শ,
হয় ত কিছু ক্ষণে
জীবন ভেসে
যাবে
আকাশ পথে, কিন্তু তা হলো না, তা হয় না,
কল্পনার অন্ত যখন বাস্বিকতার শৃঙ্গার,
বিকরাল রূপে সেই নায়িকা এখন
টেনে নিয়ে চলেছে ছাদের নীচে,
তার সংকল্পে রয়েছে আমার
বিকল্প, ওই বিকল্পে আছে
জীবন নির্ভর, সে
কোন মায়াবী
নয়, তার
দাবি,
ন্যায়সঙ্গত, নৈসর্গিক, এখন আমি ভুলে চলেছি -
সমস্ত আকাশগঙ্গার পথ, ছাদের ওই
সিঁড়ি বিলুপ্ত, চাঁদ হয় ত ডুবে
গেছে মধ্য রাতের আগে,
সে এখনো খুঁজতে
চায় আমার
বাষ্পিত
নিঃশ্বাসে জীবনের পরিভাষা, অমৃতের উৎস!
- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/