সাময়িক আবেশ
উলকি রং ছিল ফিকে উত্তরোত্তর গেছে ঝরে,
অন্তর্নিহিত ভালবাসা চেয়েছে আপ্রাণ
ধরে রাখতে তার আধিপত্য,
শিরায় শিরায় থেকেও
সে দিয়ে গেছে
ফাঁকি,
ওই আসক্তির বন্ধনে বিস্মৃত স্বগুরুত্ব, এখন
খুঁজে চলেছে বাস্তব ভস্মভূমি, তার নিগূঢ়
রূপের জাদুময় গভীরতা, ঠাহর
করতে পারি নি হৃদয়,
শুধুই স্পর্শের
অনুভূতি,
দেহের উচ্চতর অংশের অধরাঙ্কিত ভূভাগ,
এখন জ্বলিত অরণ্য শিখা, ঝলসিয়ে
পড়ছে লোম, ত্বক, মাংসপেশী
উলকি খুদিত সেই
পলকা স্থলে
প্রেমের
নিলীন চিহ্ন, প্রায় অধুনালুপ্ত, নিস্পন্দ নেত্র
চেয়ে আছে চাঁদের সঙ্কোচন, রাতের
শেষে নিপতিত বন্য কুসুম,
গন্ধের অবসন্নতা,
জীবনের
সংপ্রশ্ন আঁকতে চায় দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ, কিন্তু
কোথায় যেন মন চায়, আবার উলকির
শাশ্বত রং,গভীরতম দংশ
নবীন বোতলে যেন
পুরাতন সোম
রস,
নেশার ঘোর কাল, যুগ, তর্কের বাহিরের জীব.