বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১২


আদিম  গন্ধ 

অনেক তপ্ত সাধের পরে ঊষর ভূমি যেমন 
চেয়ে রয় মেঘের ভাঙন, অনেক ক্ষণ 
বুক পুড়িয়ে যেমন মাটির দীপ
করে আঁধারের আলিঙ্গন,
ঠিক কোথায় যেন 
তার চোখের 
পরশে খুঁজে পায় হৃদয় , অল্প বিরামের  বর্ষণ, 
অনেক দিনের বাদে দক্ষিণ মুখী 
জানালায় কে যেন  রেখে 
যায় অবিকশিত  
রজনীগন্ধার 
গুচ্ছ, 
জোড়াতালির স্পন্দন, জীবনের ঝিমন্ত দুপুরে !
পাঁচিল আর ছায়া যেন মৌন কথা কয়, 
আপনমনে নড়ে চলেছে অশ্বত্থ 
গাছের পল্লব, যেন সুর 
ধরেছে সংবেদ 
কন্ঠে,
নদী দেহের গন্ধ ভেসে উঠে দেউলের চত্বরে,
ভাঙ্গা নৌকার ক্রন্দন ও ঢেউর সান্ত্বনা,
মনে হয় কে যেন ছুঁতে চায় খুবই 
যতনে ছিদ্রময় কাষ্ঠ শরীর,
সাময়িক বিধ্বংস 
করে;  কিছু 
আগেই ছুঁটে গেছে তীব্র বেগে, পূব মুখী দূরগামী 
রেল, সেতুর গায়ের কম্পন হয় তো 
নদী ও অনুভব করেছে নিশ্চই,
প্রেম  যেন তার উন্মুক্ত 
হাসি কিংবা মোতির
মালা, এই 
মুহুর্তে খুলে পড়েছে কাচের মেঝে, গড়িয়ে যায় 
ভাবনার মুক্ত মণি, উদ্ভাসিত সহসা 
মনের দালান, তুলে রাখতে 
চায় জীবন, প্রণয়ের 
ঝরা পাতা ;
আবেগী বই র মাঝারে, আলতো হাতে সরিয়ে 
চলেছে জোছনা; পুতুল রুপি রাতের 
দেহের ধুলা, বাতায়নে পুষ্পের 
কলিকা ফুটে চলেছে ;
বুকে জড়িয়ে -
যেন এক আদিম গন্ধ - - -